Saadi Shirazi shayari in bengali – শেখ সাদী পারস্যের একজন কবি ছিলেন। তিনি ৫৮৯ হিজরী অর্থাৎ ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ইরানে। শেখ সাদীর সম্পূর্ণ নাম ‘শায়েখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দীন সাদি ইবনে আব্দুল্লাহ শিরাজি’ । তিনি ‘সাদী সিরাজী’ নামেও পরিচিত। তিনি কাব্য, অতীন্দ্রিয়বাদ, যুক্তি, নীতিশাস্ত্র, সুফিবাদ ইত্যাদিতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। নিচে শেখ সাদীর কতগুলি মূল্যবান বাণী বা উক্তি উল্লেখ করা হল –
“ঘুমিয়ে থাকা একজন ব্যক্তি, অন্য একজন ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তিকে ওঠাতে পারে না কখনোই”
” মানুষকে অপমান করোনা কারণ মানুষ সৃষ্টির সবচেয়ে সেরা জীব “
” আত্মা টা জীবন যার, তার ধ্বংস কিন্তু নেই, তার শরীরের মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু অক্ষয় ও অমর নিজে সে”
” কখনো করো যদি আলোচনা, ও দেখাতে নিন্দা আর করো না “
” যে ব্যক্তি নিজের হাতে অর্জন করে, তাকে ছোট করতে পারে না হাতেম তাজের এর দান “
“যাহা না পারো বলিতে চোখের উপরে, তাহা অগোছরে বলিও না”
” কৃপণের টাকা উদঘাটিত হয় মাটির নিচে থেকে, আর কৃপণ ব্যাক্তি নিজে গিয়ে মাটির নিচে ঢুকে “
“যে মানুষ ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত, তার কাছে কচুপোড়াও মাংসের ঝোল মনে হয়”
“গুণ পাথর যদি হতো মহামূল্যমণি, তাহলে মনি-মুক্তার কদর কিছু হতো না কখনোই”
“পণ্ডিত জন বলিল কেহ, ‘ পাণ্ডিত্য পাইছো কোথায়’ পণ্ডিত বলেন, ‘বুঝলে মিয়া বোকার কাছেই পাণ্ডিত্যের খনি’ গর্দভেরা বোঝা বহে, চিনির বোঝা সে কি জানে, জানলে কি আর বইতো গাধা, হত সে রে মহাপণ্ডিত”
“মহাজ্ঞানী মাথা বিনীত সবসময়, ফল ভারে ডাল-পালা যেমন থাকে অবনত”
“যা খুব চটজলদি বানিয়ে যায়, তা খুব চটজলদি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়”
“কোন দেশের শাসনব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র যদি হয় মার্জার , যেখানে কুকুর হয় তার মেন উপদেষ্টা, আর অর্থমন্ত্রী ইঁদুর , তাহলে সে দেশের অবস্থা কি হবে তা নিজে কল্পনা করে নাও”
“পরের দুঃখে দুঃখিত তুমি যদি না হও, তাহলে কিসেরি মানুষ তুমি হে “
“আপন দুঃখের কথা যাকে তাকে বলো না, অপবাদ উপহাস বেকার সয়ো না”
“ধৈর্যশিলতা বিষের মতো মনে হয়, অবশ্যয় পরে তার ফল বেশ মধুময়”
“রাজার-বাদশার চেয়ে কতই না সুখী দিন-দুঃখীজন, আনন্দে ভরা যাদের মন”
“অন্যের দোষ তোমার আছে যখনই বলে তোমার দোষ ওপরে অবশ্যয়”
“নেকড়ে বাঘের বাচ্চা অবশেষে, প্রমাণ দেখায় যে, সে নেকড়েই”
“গগন ভুবনকে নানান উপাদান সামগ্রী দিয়ে যেমন রোদ্র, জল ইত্যাদি দিয়ে গৌরবানিত্ব করে, কিন্তু এই ভুবন গোগণকে ধুলিরাশি ছাড়া অন্য আর কিছুই দিতে পারে না, যে বাসনে যে জিনিস থাকে সেই ছাড়া অন্য কিছু আশা করা যায় না”
“প্রয়োগ করো ভালো কথা, সৈজন্য, সুভাসন আর বিনয়ে হাতির মাহুত হতে পারবে খরগোশ ”
“বিনয়ী- নম্রভাব উন্নতিপথে প্রধান হাতিয়ার স্বরূপ, বিনয় ও নম্রে মান- সম্মান হয় মহামহিয়ান, মধুর ভাষায় কর্ম হইবে সফল, তিক্তভাষী পাবে মনে শুধুমাত্র বেদনা ”
“যতক্ষণ টাকাই পারে গরম দেখাতে, ততক্ষণ পর্যন্ত জীবন কে বাজি রাখা নিরর্থক হবে”
“সুধীজন সেই সমস্ত ব্যাক্তিদের মহাবীর বলেন , যারা অহর্নিস দ্বন্দ্ব সেবা করে রিপু সনে”
“ভদ্রব্যাক্তি সেই, বড় লোক সেইজন, যে জন সত্যের উপাসক করে, যে ব্যাক্তি মনুষ্যত্বকে সম্মান করে – চরিত্র ও মহত্ত্বজার গৌরব”
“লোকেরা অবশ্যয় ধনীব্যক্তিদের বৃত্তের সন্দর্য দেখে হয় মুগ্ধ, কিন্তু ধনী ব্যক্তিরা নিজেরা তাদের নোংরা পা দেখে হয় অসন্তুষ্ট”
“যে ভাবে এবং সফর করে তারাই বিশ্বের প্রধান মুশফির”
“ব্যাক্তি যখন তার নিজের মান-সম্মান হারিয়ে ফেলে, তখন ওই ব্যাক্তি যেখানে খুশি যেতে ইতস্তত হয় না”
“আপন রক্তকে সবাই শ্রেষ্ঠ মনে করে”
“রাজা-বাদসার প্রয়োজন জ্ঞানী-গুণী-বুদ্ধিমান মানুষদের, কিন্তু জ্ঞানী-গুণী-বুদ্ধিমানদের প্রয়োজন নেই রাজা-বাদসার”
“আপন ভুল-বিপদ-সংকটের কথা কখনোই নিজের শত্রুকে বলো না, সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে কিন্তু মনে আনন্দ লাভ করবে”
“তুমি নিজে যা শিখবে তা যদি নিজের বাস্তব জীবনে ফুটাতে না পারলে তবে তুমি একজন বড় বোকা”
“যতদিন বা সময় পর্যন্ত টাকা কথা বলবে ততদিন বা সেই দিন বা সময় পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে মন প্রাণ সংশয় রহিবে”
” যে ব্যাক্তি সবসময় সৎ ও নিষ্ঠা, নিন্দা বা হিংসা তার কোন ক্ষতি করতে পারে না”
“বনের পশু- মিলনে স্বাধীনভাবে আচরণ করার থেকে, বন্ধু সমাজে শৃঙ্খলিত জীবন-যাপন হাজার ও লক্ষ গুনে ভালো”
“অনেক বেশি ধনসম্পদের তুলনায় একটি ভালো মুখের আচরন বা ভঙ্গি অনেক বেশি ভালো”