আব্দুর রহমান শাদার ৬০+ বিশেষ বাণী সমূহ। যা আপনার মন মুগ্ধ করবে।
“ ঈর্ষায় বাসনা আত্মগোপন করে থাকে। সুযোগ্য স্ত্রীর অযোগ্য স্বামী অন্য পুরুষের চক্ষুশুল ”
” টিকে থাকা দিয়ে ভালো-মন্দের বিচার হয় না। পৃথিবীতে ধর্ম ও অধর্ম দুটোই টিকে আছে “
“যত মানুষ তত মত। তবু পরের চর্চায় মতের মিল হতে দেরি হয় না। কারণ তখন নিজেদের প্রসঙ্গ উহ্য থাকে”
“জীবনের সহজ আনন্দ পঙ্গু করে যারা পান্ডিত্য হয়, আখেরে তাদের চৈতন্য হয়। তখন কৈশোর এবং যৌবনের পক্ষে ওকালতি করে তারা অতীতের ক্ষতিপূরণ করতে চান। উদাহরণস্বরূপ জন স্টুয়ার্ট মিল, যিনি পন্ডিত পিতার তত্ত্বাবধানে অকাল পাণ্ডিত্য লাভ করে শেষ বয়সে পুত্রের স্বাধীনতার জন্য বই লেখেন”
“পন্ডিতমূর্খ বোকামি করে, মূর্খ পন্ডিত বোকা বানায়, চাতুরীতে নকল পন্ডিত আসল পন্ডিতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ”
“পন্ডিতমূর্খ বোকামি করে, মূর্খ পন্ডিত বোকা বানায়, চাতুরীতে নকল পন্ডিত আসল পন্ডিতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ”
“প্রগতির ঝড়ে খড়কুটোও উড়তে পারে। উড়ে কোথায় যাবে তা তার জানা নেই। তার যাত্রা উদ্দেশ্যহীন। সমাজে যখন নতুন হাওয়া বয় তখন চাঞ্চল্য বাড়ে। স্থবিরকেও মনে হয় গতিমান। কিন্তু সেটা প্রকৃতির আসল রূপ নয়, যেমন ফুটবলের উল্লম্ফন তার নিজস্ব প্রকৃতি নয়”
” মন চাই জয় করতে, বিজয়ী না হলে যেন মনমরা ভাব আসে ”
“ক্ষমতার প্রধান গুণাবলী নিজেকে ফুটিয়ে তোলার বিশেস মনের জোর। অবস্থা যতই কঠোর হোক, নিশ্চয়তা কখনো গুণাবলী ত্যাগ করেনা”
“পরিবেশ ছাড়া প্রতিভার পূর্ণবিকাস হয় না। শেক্সপিয়ার বুনোদের মধ্যে থাকল একজন বড় ওঝা হতেন”
“প্রতিভা সমাদৃত না হলে তাকে নিষ্প্রভ বলা যায় না। মনি মানিক্য ভাঙলেও আপন মহিমায় দীপ্যমান । জহুরীর চোখ না পরা পর্যন্ত লোকে তার মূল্য বোঝে না”
“কাউকে ভালবাসলে তার দুর্বলতা গুলিকে মেনে নিতে হবে। প্রকৃতির কারিগরের উপর কারো হাত নেই”
“পঠন পাঠান ছাড়া পান্ডিত্য হয় না। কিন্তু পড়ার জ্ঞান পরোক্ষ, যেমন ছবিতে মানুষ দেখা, তবে পরোক্ষতার লাভ এই যে, তাতে প্রত্যক্ষের আদর্শ রূপ অনুসৃত হয়”
“প্রগতি চাই নতুন স্থিতি, কিন্তু যা কোথাও দাঁড়াবে না তেমন গতিতে মানুষ সহজেই আস্থা হারিয়ে ফেলে। তাই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে সে আর এগোতে চায় না। তখন অন্য কেউ আছে তাকে ঠেলে সরানোর জন্য। কারণ নিরন্তর গতি না হলে নতুন এর স্থিতিসম্ভাবনা নেই”
“লাভ ছোটবেলার বিস্ময়, প্রাপ্ত বয়স্কের নেশা এবং বুড়ো বয়স্কের সুখ স্মৃতি”
” আদিম যৌন আবেগের পটভূমিতে ভালবাসার উদ্ভব একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এরপরই শিল্প সাহিত্য সংগীত ফুলেফলে স্থাপিত হয়েছে”
“আপনার কি জানা আছে, সব প্রেমের কেন্দ্রে আছে যে আত্মপ্রেম “
” কাউকে এক গুণ খুশি করে তার দুগুণ খুশি হলে, বুঝতে হবে ভালোবাসার জন্ম হয়েছে”
” ব্যক্তির বিশিষ্টতাই তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব। গুণ একক হলেও মানুষটি কিন্তু একা হয়ে থাকেন।
” বইয়ের মত বন্ধু নেই, আনন্দ, বিষাদ, বঞ্চনা সব অবস্থাতেই সাথী। বইয়ের পাতা উল্টালেই বই মানুষের সাথে যেন কথা বলে”
“হাতে হাতে লাভের আশায় যারা বুদ্ধির বাজে খরচ করে, তারা বড় কাজ করার শক্তি হারায় “
” বার্ধক্যই একমাত্র কাল যখন বড় হবার কঠিন বাসনা গুলো জাদুর অলিক অস্তিত্বের মতো উবে যায়। কিন্তু বয়সের সঙ্গে বৈরাগ্য বুদ্ধি না হলে অতৃপ্ত স্বাদ আত্ম প্রাণীকে কুরে কুরে খাবে। বজ্র মুষ্টিতে ধরা জিনিস আলগা হাতে ছেড়ে দেবার মানসিকতায় পরিণত বার্ধক্য ”
“গুনির মান গুণবাণেই দিতে পারে। গুনাগুনের নিরপেক্ষ বিচার করবার ক্ষমতা যার নেই, তার সমাদার ভক্তিমূলক। ভক্তি চটে গেলে শীর্ষ গুরুর মারতেও কুণ্ঠিত হয় না”
“মুখ বন্ধ রাখলে চিন্তা করবার সময় পাওয়া যায়। মৌন ব্রত মন দেখার কৌশল”
“ সক্রেটিস, সিজার, আইনস্টাইন তারা পটুক্তের বাইরে অপটু ছিলেন। মহাপন্ডিতেরও হাস্যরসিক হবার যোগ্যতা নাও থাকতে পারে ”
” মন জুড়াবার জন্য মনের কোনে একটা ঠাই থাকলে ভালো মানুষ হয়, কিন্তু ওটা গড়ে তুলতে বহু সময় লাগে “
“ভরা চর্চায় অপরে কাঠগোড়ায় দাঁড়ায়, চর্চাকারী বিচারের আসনে বসে। প্রচলিত বিচারের সঙ্গে পরচর্চার তফাৎ এই যে, এই আদালতে কেউ খালাস পায় না”
“অতীত বিচ্ছিন্ন ও প্রবাহিত। বর্তমান কালের সচেতন মানসিকতার সঙ্গে যার যোগ হারিয়ে গেছে তা ইতিহাস হলেও ঐতিহ্য নয়। মহেঞ্জোদারো হরপ্পা সভ্যতা এযুগের সিন্দবাসী মুসলমানের বিচ্ছিন্ন অতীত। এর পুরোচর্চায় তাদের অনুসন্ধিৎসা আছে। অনুপ্রেরণা নেই। কিন্তু বিগত আর্য সভ্যতা ভারতবাসী হিন্দুর সংস্কৃতিক উত্তর অধিকার। এখানে অতীতের জীবনদৃষ্টি মন্দাকিনী ধারার মতো বর্তমান পর্যন্ত বয়ে এসেছে। জীবন দর্শনের মৌলিক পরিবর্তন ঘটে গেলে অতীত কেবল ইতিহাস হয়ে যায়”
“কৃষ্টি যখন বিলাসে পরিণত হয়, তখন মানুষ ফলের কথা না ভেবে ফুলের চাষ করে”
“চিন্তাশীলতা চরিত্রগত। ভাবতে চাইলেই ভাবা যায় না। স্বাভাবিক মানুষকে ভাবুক করে ”
“কৃষ্টির হিরিক মুদ্রাস্ফীতির মতোই কৃত্রিম উৎকর্ষ”
“মানুষ মাত্রই চিন্তা করবার শক্তি আছে। কিন্তু স্বার্থ সম্পর্ক এবং স্বজাতিবোধ তাকে বেড়াজালের মতো ঘিরে থাকে। জাল কেটে যিনি বেরোতে পারেন তিনি চিন্তাবির ”
“প্রশান্ত আত্ম উপলব্ধির ক্ষণটিতেই শ্রেষ্ঠ চিন্তার উদয় হয়”
“যিনি বীজ রুয়ে বৃক্ষ আশা করেন তিনি কাউকে ছোট থেকে বড় হতে দেখলে নাক সিটকান। যেন প্রকৃতির নিয়ম শুধু তাঁর পক্ষে না গিয়ে সবার পক্ষে যাওয়া অনিয়ম। অক্ষম ঈর্ষায় নিরপেক্ষতার ঠাঁই নেই”
“মহা সৃষ্টি তে ছোট কিছুই নয়। বৃহৎ পরিকল্পনায় সম্পন্ন করলে সামান্যও মহিমান্বিত হয়। বৈজ্ঞানিক হাতে একটি ক্ষুদ্র পরমানু বিপুল পারমানবিক শক্তির আধার”
“জন্মের উপর জাতকের হাত নেই, তবুও জীবনের বোঝা তাকেই বলতে হয়। কষ্ট পেলে মানুষ নিজেকে প্রশ্ন করে – কেন জন্মালাম? ”
“ ছোটদের মধ্যেই ছোট করার উৎসাহ বেশি। সে যতই ছোট হোক, আত্মভিমান তুষ্টির জন্যে তার চেয়ে ছোট আর একজন দরকার। যেহেতু বড় নাগালের বাইরে, তাই ছোটকে ছোটতর করে সে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায় ”
“সর্ব বিষয়ে কাউকে ছোট বা বড় বলা যায় না। শ্রেষ্ঠতম গুণী ও সীমিত যোগ্যতার অধিকারী ”
“ধ্বংস দিয়ে ব্যক্তির গুণ বিচার করা যায় না। দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ এবং অকবির ঘরে কবি জন্মায়। বংশ তরুর শিকড় আছে অজানা গভীরে”
“জীবনে সকলেই নিশ্চয়তা চাই। কিন্তু প্রকৃতিতে অনিশ্চয়তার আরেক নাম নিত্য সত্য”
“অনেকখানি ভ্রান্তি এবং বিস্মৃতি না হলে আত্মতুষ্ট হয়ে জীবন উপভোগ করা যায় না”
“জীবন নশ্বর, যশও চিরস্থায়ী নয়। ভবিষ্যতের আশায় বর্তমানকে জলাঞ্জলি দেওয়ায় সত্যিই কোন বিজ্ঞতা নাই”
“জীবনের পথ দুর্গম হলেও আবিষ্কারের ক্লান্তি নেই”
“খেলোয়াড়ের নাথির ফল। প্রকৃষ্ট গতির মানসিকতা চিন্তাপুষ্ট ও মাত্রা সমন্বিত”
“জীবনের দিনগুলোকে আগ্রহে ভরিয়ে রাখতে পারলে স্বর্গ সুখের কল্পনা করতে হতো না”
“জীবনের পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় খুঁজতে খুঁজতে পথের সন্ধান যখন পাওয়া যায়, তখন চালবার সামর্থ্য আর বেশি থাকে না”
“বেঁচে থাকাই জীবন। উৎসাহের সঙ্গে বেঁচে থাকার সমতুল্য আর কিছু নেই”
“জীবনের পিয়ালাই মধুর সঙ্গে বিষ মিশে থাকে। বিষের ভয়ে পেয়ালা থেকে যে মুখ ফেরায়, তার জন্য মধু হারাম”
“সহজ জীবন বোধ পান্ডিত্যের অপেক্ষায় রাখে না। অভিমান ত্যাগ করলে মহাজ্ঞানীও সরলা বালিকার কাছে জীবনের পাট নিতে পারেন”
সম্পূর্ণতা লাভের জন্য মানুষ জ্ঞান সাধন করে। কিন্তু অসম্পূর্ণতা বোধকেই বাড়িয়ে দেয়। বিজ্ঞের চেয়ে অজ্ঞেই আত্মতুষ্টির পরিমাণ বেশি ”
“নিঃসঙ্গ জীবনের বোঝা বয়ে বেড়ানো বড়ই কষ্টকর। অন্তরের সঙ্গে অন্তর যুক্ত না হলে একাকীত্ব ঘোচে না। সম্পর্ক না হলে ভিড়ের মধ্যেও মানুষ একা বোধ করে”
“সম্পূর্ণতা লাভের জন্য মানুষ জ্ঞান সাধন করে। কিন্তু অসম্পূর্ণতা বোধকেই বাড়িয়ে দেয়। বিজ্ঞের চেয়ে অজ্ঞেই আত্মতুষ্টির পরিমাণ বেশি ”
“জীবন সম্বন্ধে জ্ঞান যত সুখই হোক না কেন, তাতে জীবনের স্বাদ নেই”
“দাম্পত্য মিলনে গড়মিলের ফলে অশেষ সম্ভাবনার অতি দুঃখজনক পরিণতি হতে পারে। মনের মত সাথী পেলে যিনি আদর্শ স্বামী অথবা হতে পারতেন, বিপরীত সম্পর্কে তিনি হন ত্যক্ত-বিরক্ত খিটখিটে”
“কমেডি সত্য, ট্রাজেডি সত্যের অনিবার্য পরিণতি। মুখের হাসি মিলিয়ে যায়, জীবনের কঠোর সত্য বিয়োগ ব্যথা মৃত্যু হয়ে আসে। সর্বগ্র রাশি সত্যের আলিঙ্গন থেকে কেউ ছাড়া পায়নি। তবে অনুভবের পরিপক্কতা দিয়ে জীবন ভয়ংকরকে দেখেন, মহৎ বিষাদে তার মন ভরে যায় ”
“নারীর সৌন্দর্য ও নরের ঐশ্বর্য দাপত্য সুখের সহায়”
“অধিনার ভালোবাসায় অনিশ্চয়তার ঝাল নেই। তাই এই খেয়ে নিয়ে ঘোছাবার জন্য প্রেম বিলাসিরা হাতের পাখি ছেড়ে বনের পাখি ধরতে যায়”
“মানুষ নিয়তির কারখানার কারিগর। সেখানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সে যা তৈরি করে তার মধ্যে তার পায়ের বেরি এবং সেটা কাটবার ছেনি-হাতুড়িও থাকে”
“নিয়তি জন্মসূত্রের অদৃশ্য পরিণাম। সময়ের চাকা ঘুরে গেলে আলো ছায়ায় জীবনের প্রতিরূপ স্পষ্ট হয়। ফিরে দেখা পরিত্রাণের বিকল্প নয়। মাকড়সা রসতন্তু দিয়ে জাল বনে তাতে বাধা পড়ে। এ বড় নিষ্ঠুর আত্মক্রিয়া। কিন্তু ঘটনাচক্রে চালমুক্ত হলেও সে দেখবে জীবন রস শূন্য। সর্বশেষ রিক্ততায় নিয়তি পূর্ণ নয়”
“পঠন পাঠান ছাড়া পান্ডিত্য হয় না। কিন্তু পড়ার জ্ঞান পরোক্ষ, যেমন ছবিতে মানুষ দেখা, তবে পরোক্ষতার লাভ এই যে, তাতে প্রত্যক্ষের আদর্শ রূপ অনুসৃত হয়”
“ঘটনা কি বশে আনতে না পেরে আমরা হেরে গিয়ে নিয়ে থেকে স্বীকার করি”