শ্রীমৎ ত্রিপুরলিঙ্গ ১৮০০ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি একজন হিন্দু ধর্মের ব্রতি সন্ন্যাসী ছিলেন। ইনি জীবন উপলব্ধির কিছু প্রবচন মানুষকে দিতেন। ইনি একজন অদ্বৈতবাদী জ্ঞানযোগী ছিলেন। অবশেষে ইনি ১৮৫০ সালে মারা যান। এনার কিছু মানুষকে দেওয়া প্রবচন নিচে উল্লেখ করা হলো।-
“পরমাত্মা সারা বিশ্বে ওতপ্রোত। … সদাই পরম প্রভুর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখো। মায়ার বন্ধন ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাবে।”
“সংসারের মায়ায় যতই জড়াবে, ততই পাবে দুঃখের আঘাত।”
“আসল লোককল্যাণ হচ্ছে, (মায়াবদ্ধ নর-নারীর) ভবরোগের ব্যাধি সারানো।”
“কোনো মানুষের দেহ প্রাণ মন বুদ্ধি বিবেক অথবা অবস্থা—কোনো বিষয়েই কোনো ঘাটতি থাকুক না কেন, সে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারে কঠিন তপশ্চর্যার দ্বারা।”
“আমরা যখন বিশ্বশান্তি এবং বিশ্বকল্যাণের কথা ভাবি, তখন আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে। তা হল, ধর্মে ধর্মে আপাত বিরোধ আছে, কিন্তু আসলে সব ধর্মের পথ এক ও অভিন্ন।”
“মহাপুরুষরা কখনো নিজেদের বড়ো বলে প্রচার করতে চান না। তাঁরা সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই কাজ করে যান। কিন্তু অন্য লোকে তার অসধারণত্ব উপলব্ধি করতে পারে।”
“নিঃস্বার্থ না হলে কোনো কর্মের সূচনা হয় না। জীবনমুক্ত অবস্থাতেই আমরা যথার্থ কর্ম সম্পাদন করতে পারি।”
“যুক্তি তর্ক না করে কোনো বিষয় গ্রহণ করা উচিত নয়। যে কোনো বিষয় গ্রহণ করতে হলে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তা বিচার বিবেচনা করা দরকার।”
“ঈশ্বরের স্তুতি, প্রার্থনা এবং উপাসনা করা সকলের উচিত। ঈশ্বর সান্নিধ্য লাভ না করলে জীবন একেবারে বৃথা হয়ে যায়।”