জ্যোতি ভট্টাচার্যের উক্তি বা বাণী সমূহ

Jyoti Bhattacharya Quotes in bangla – জ্যোতি ভট্টাচার্যের বিশেষ বিশেষ বাণী বা উক্তি সমূহ। সমস্ত বাণী বা উক্তিগুলি বাংলায় দেখুন।

Jyoti Bhattacharya Quotes in bangla

সময় তান্ত্রিক বিপ্লবের কর্তব্যের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন ও পরিচালন ব্যবস্থাকে জনসাধারণের অধিগাম্য করে তোলা।

আমি, তুমি আর সে। এই নিয়েই তো আমরা সকলেই আমাদের পরিবার, সমাজ এবং পাড়া – প্রতিবেশী। আমি আর তুমি মিলে যে আমরা তা কখনোই প্রকাশ পাই না, ফুটে ওঠে না যদি সে না থাকতো। এই বহু সে একসঙ্গে মিলে আমাদের বাস্তব ছবিটির অস্তিত্বের যাথার্থ দেয়।

সুন্দর সৃষ্টিতে মানুষের আনন্দ কারণ সেই সৃষ্টিতে তার আত্মপরিচয়

সংস্কৃতি মানুষকে জীবন কর্মে কুশলী করে, পাট চাষ থেকে তাজমহল নির্মাণ পর্যন্ত ব্যাপ্ত যে জীবন কর্ম, ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য কন্দমুল সন্ধান থেকে শুরু করে মহাসাগরের তলদেশে খনিজ তৈলের সন্ধান পর্যন্ত প্রসারিত যে জীবন – উদ্যম, নদীতে কলাগাছের ভেলা ভাসানো থেকে মহাশূন্যযান- চালনা পর্যন্ত ধাবিত যে জীবন প্রয়াস, অনু-পরমানু গঠন থেকে নীহারিকা পুঞ্জের গঠন পর্যন্ত ব্যাপ্ত সে জীবন অনুসন্ধান- তাই সংস্কৃতির ভিত্তি, তাই আবার সংস্কৃতির সৌধশীর্ষের বৈজয়ন্তী পতাকা।

‘মানবিক’ বা ‘মানুষ’ শব্দটাও যে কত গোল মেলে। চন্ডীদাস যখন বলেন, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে কেউ নাই’ তখন ‘ বলতে তিনি কি বোঝান? আবার লালন ফকির যখন বলেন ‘এই মানুষের বিহার/মানুষ হলে দৃষ্ট হয় তার’ তখন তিনি তো একরকম মানুষের কথা বলেন না। আবার মির্জা গালিব যখন বলেন- বসকে দশোবার হ্যাঁ হার কাম আসা হোন/ আদমিকো ভি ময়সসর নহি ইনসা হোনা। তখন যে মানুষ শুধুই ‘আদমি’ আর যে মানুষ ‘ইনসান’ তাদের মধ্যে দুস্তর পার্থক্যের কথাই বলেন। যেসব কাজকে আমরা অমানুষিক বলে থাকি সেসব কাজ করে থাকে কিন্তু ‘মানুষই’

সামাজিক মানুষের প্রথম সাংস্কৃতিক প্রয়োজন সভা বা সমিতি। সেই সংস্কৃতি প্রয়াসসাধ্য, সহজাত নয়, দৈবদত্ত নয়। একাধিক মানুষ একত্রে আলাপ-আলোচনা বিচার-বিতর্ক প্রতিজ্ঞা-সিদ্ধান্ত করতে পারলে সমাজ বন্ধনের প্রথম গ্রন্থি বোনা হয়। কালচারের প্রথম সোপান সেখানে নির্মিত হয়।

মার্কসবাদকেই প্রায় আরেকটা প্রতিষ্ঠানিক ধর্মে রূপান্তরিত করার যে প্রচেষ্টা জ্ঞানে-অজ্ঞানে করা হয়েছে, সেটা অ-মার্কসবাদী, অধার্মিক ও বিপদজনক।

সমাজতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অন্যতম লক্ষ্য হল পূর্ণাঙ্গ মানুষ। মানুষকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মোহ থেকে মুক্ত করা, লোভ থেকে মুক্ত করা, যথার্থ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন করা, জ্ঞানবিজ্ঞানে প্রয়োগবিদ্যায় শিল্পাকলায় বহু জনকে শিক্ষিত করে তোলা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কাজ।

সংস্কৃতি সংগ্রাম মানুষের রুচিবোধ নীতিবোধ, ন্যায়বোধ, বিচারবোধ, সবকিছুকে নিয়েই, কারণ এগুলো পৃথক পৃথক ব্যাপার নয় পরস্পর সম্পর্কিত।

সৌন্দর্য, মানুষের প্রয়োজন। মানুষই এই প্রয়োজনকে সৃষ্টি করেছে। যেমন করে সে প্রকৃতিদত্ত ইন্দ্রিয়গুলিকে মানবিক ইন্দ্রিয়ে পরিণত করেছে।

যথার্থ নাস্তিকের এই বিশ্বে কোথাও কোন সান্তনা নেই, কোন আশ্রয় নেই- সত্যই তার একমাত্র সঙ্গী।

Leave a Reply