শ্রীমৎ ত্যাগরাজ ১৭৬৭ সালে দক্ষিণ ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই এনার সঙ্গীতের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। সেই জন্য পরবর্তীকালে তিনি একজন ভালো সংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এর সঙ্গে ইনি গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান সহ সংস্কৃত বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন। অবশেষেই ইনি ১৮৪৭ সালে মারা যান। এনার কিছু বানী নিচে উল্লেখ করা হল|-
“একজন মানুষ যতই পণ্ডিত হোন, তিনি যদি মহামানবগণের প্রদর্শিত পথে মনোযোগী না হন, ভগবদ্-ভক্তগণের সুবর্ণতুল্য বাণী আস্বাদন না করেন, তাঁর পক্ষে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করা অসম্ভব।”
“যিনি নিজের মনোবৃত্তিকে জয় করেছেন তাঁর আর মন্ত্রতন্ত্রের প্রয়োজন কী? যিনি দেহাত্মবোধক ভ্রম থেকে মুক্ত হয়েছেন তাঁর আর তপস্যারই বা কী প্রয়োজন।”
“স্বর ও রাগের (সূক্ষ্ম) মাধুর্যে ভক্তিরস (জীববোধে) অমৃতাস্বাদন ঘটায়। মুক্তির পথে নিয়ে যায়। ভজনের আনন্দে ব্রহ্মানন্দই প্রকাশিত হয়। হে মানব, হৃদয়ভরে সুর ও ছন্দের অমৃত পান করো, যাগ-যোগ, ত্যাগ-ভোগ সবেরই ফল লাভ করতে পারবে।”
“সঙ্গীতের মর্ম অনুভবে, হৃদয়ে ধর্মবোধক আনন্দ উদ্বোধিত হয়। (কিন্তু) ভক্তিভাবহীন সঙ্গীত চেতনার উত্তরণে কোনো সহায়তা করে না।”
“শাশ্বত আনন্দবোধে জাগৃতির প্রশস্ত ভক্তিমার্গ থাকতে কোন সংকীর্ণ গলিপথে প্রবেশের প্রয়োজন কী? (ভক্তিভরে) ধ্যানাভ্যাসই সর্বোত্তম শুদ্ধিস্থান।”
“বিত্তশালী যদি তাঁর অতিরিক্ত বিত্তধন নিঃস্বার্থ সেবায় ব্যয় না করেন, তবে তার থাকা না থাকায় সমাজের কী আসে যায়!”
“শ্রীরাম ভক্তির ঐশ্বর্যপ্রাপ্ত মহাপুরুষকে দর্শন করাও অপরিসীম আনন্দের সূচক।”
“ভক্তির ক্ষীরসমুদ্রে সন্তরণেই মানবজীবনের পরম সার্থকতা।”