শ্রীমৎ কালীকম্বলীওয়ালা ১৮৮১ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটবেলায় তার জীবন খুবই দরিদ্রতার মধ্যে গিয়েছিল। চিনি বেশিরভাগ সময় কালো একটি কম্বল গায়ে দিয়ে থাকতেন তাই এনার নাম হয়েছে কালীকম্বলীওয়ালা। তিনি যৌবনকালেই সন্ন্যাসীবন গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তীর্থ যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা সহ অর্থ প্রদান করতেন। তিনি হিমালয়ের বিভিন্ন ধরনের তীর্থ কেন্দ্র গুলিতে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তীর্থযাত্রীদের জন্য। অর্থাৎ ইনি একজন লোকসেবাব্রতী কর্মযোগী ছিলেন। অবশেষে ইনি ১৮৯৬ সালে মারা যান। এনার কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হল-
“প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য (দেবজ্ঞানে) অপরের সেবা করা—কায়িক, আর্থিক বা বাচিক যেভাবেই সম্ভব হোক।”
“বিনা পরিশ্রমে অথবা সাধন ভজন ব্যতীত কোথাও খাদ্যগ্রহণ অধর্ম।”
“অভ্যাস এবং সংস্কার থেকে ধ্যান হয়। অভ্যাস এবং সংস্কারকে ত্যাগ করলে ধ্যান হয় না।”
“নিয়মিত জপ করতে করতে তোমার মধ্যে জাগরণ বোধের জন্ম হবে। জপের অনন্ত মাহাত্ম্য আছে, সেই মাহাত্ম্য আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারি না।”
“দেহ মনে রাজ্যের বিরুদ্ধ শক্তির অধিকার আছে, তাই এক জায়গায় বসে একমনে তাঁকে ধ্যান করার চেষ্টা করো। তবেই তাঁর সান্নিধ্য অনুভব করবে।”
“চিত্তচাঞ্চল্য পরিহার করো, অযথা অন্যায়ের পেছনে ছুটে যেও না। সমস্ত প্রলোভন ত্যাগ করার চেষ্টা করো।”
“যার উৎপত্তি আছে, তারই আদি-অন্ত আছে যা গুণবিশিষ্ট, তা রূপান্তর ঘটে যায়। তাই জীবন পরিবর্তনশীল, একথা সবসময় মনে রাখতে হবে।”
“যখন তুমি উপলব্ধি করবে তোমার হাতে কোনো কর্মের ভার নেই, তখনই নিজের স্বরূপকে বুঝতে পারবে।”
“যতদিন মন বশে না আসে, ততদিন মনের বিশেষ চিকিৎসা দরকার। মন একবার বশে এসে গেলে কামনা বাসনার দ্বারা সে আর আলোড়িত বা তাড়িত বা প্রভাবিত হবে না ।”