বলরাম হাড়ি ১৮২৫ সালে বর্তমান বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ইনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য একজন মাসিহা ছিলেন। ইনি একটি সাম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা ‘বলহাড়ি’ সম্প্রদায় নামে পরিচিত। ইনি একদিকে ছিলেন যেমন ধর্মীয় নেতা ও সমাজ সংস্কারক তেমনি অপরদিকে ছিলেন গীতিকার ও সাধক। অবশেষে ইনি ১৯৯০ সালে তিনি মারা যান। কেনার কিছু বাণী বা উপদেশ নিচে উল্লেখ করা হল।
“তিনি তাই, তুমি যা-ই, যা তিনি তা-ই তুমি।”
“যেয়েও আছে, থেকেও নাই; তেমনই তুমি আর আমি রে। আমরা মরে বাঁচি, বেঁচে মরি।”
“চক্ষু মেলিলে সকল পাই। চক্ষু মুদিলে কিছুই নাই। দিনে সৃষ্টি রাতে লয়; নিরন্তন ইহাই হয়।”
“রাধুনি নেই রাঁধলে কে? রান্না নেই তো খেলেন কী? যে রাঁধলে সেই খেলে,— এই দুনিয়ার ভেলকি (তিনিই ভগবান)।”
“স্ত্রীলোক সম্পর্কে খুব সাবধান না থাকলে ব্রহ্মজ্ঞান হবে না।”
“যতই তুমি চালাক হও না কেন, কাজলের ঘরে থাকলে গায়ে কালি পড়বেই। তাই যুবতীর সঙ্গে ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবে।”
“সংসারধর্ম পালন করার মধ্যে কোনো দোষ নেই। কিন্তু ঈশ্বরকে সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে সংসারধর্মে মেতে থেকো না। এতে তোমার অনিষ্ট হবে। ঈশ্বরের প্রতি মনকে নিবেদিত রাখবে, অথচ কর্মচঞ্চলতা প্রবাহে ভাসমান থাকবে ।”
“ঈশ্বরে ভক্তি না রেখে যদি সংসারধর্ম পালন করতে চাও, তাহলে আরও বড়ো বিপদে জড়িয়ে পড়বে, প্রতি মুহূর্তে তুমি শোকাচ্ছন্ন হবে, অধৈর্য হবে, হতাশ হতে হবে। যদি ঈশ্বরের প্রতি মনপ্রাণ সমর্পিত থাকে তুমি সব বিষয় অতিক্রম করতে পারবে।”