শ্রীমৎ রামদাস বাবাজী ১৮৭৭ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন হিন্দু ধর্মের জ্ঞানী সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি আত্মাকে ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নানান উপদেশ ব্যক্তিদেরকে প্রদান করতেন। তিনি ছিলেন একজন বৈষ্ণব সদগুরু। অবশেষে তিনি ১৯৫৩ সালে মারা গিয়েছিলেন। ইনার কিছু অমৃত বাণী নিচে উল্লেখ করা হল।-
“শরণাগতি এলেই গ্রহণ বর্জন সহজ হয়ে যায়। … কৃপার প্রাণ তো বিশ্বাস; সেটি হলেই শরণাগতি। তখন আর কোটি অনুকূল কোটি প্রতিকূল বলে দিতে হয় না।
“কৃপা হলেই হবে না, সে কৃপার মর্যাদা না দিতে পারলে কিছুই ভোগ হবে না ।…… কতো কতো জন্মের সংস্কার একদিনেই যাবে! সময়ে হবেই হবে।”
“চঞ্চলতায় কি কোনো বস্তু ভোগ হয় ? হরি বলো, ধীরে চলো। কামনা বাসনার দৌড়ানো থামলেই শান্তভাব। নিষ্কাম ভক্তেরই শান্তভাব হয়। ওটি হলো ভিত্তি, ওতেই তলায় তলায় ‘বাড়ি’ উঠবে।”
“কোনোখানে যার ইষ্টনিষ্ঠা হয়েছে, তার সব নামেতে সমান আবেশ। সেবা প্রাণ দিয়ে করো। সেবা মানে নিজে সুখ পাওয়া নয়, সেব্যকে সুখ দিয়ে সুখ পাওয়া। এ সুখ পাওয়া নিজে সুখ পাওয়ার চেয়ে কোটিগুণ বেশি। …… (রসস্বরূপ) আত্মার প্রসন্নতা বিধানের নামই সেবা।”
“রসবস্তুর স্বভাবই এই যে, এক জায়গায় থেমে থাকতে পারে না।”
“এক থেকে দুই—তাঁর নিজ নামগুণ লীলা আস্বাদ করার স্বরূপ, অর্থাৎ স্বরূপ রসাস্বা- দনার্থেই বহুত্বের লীলা।”
“বিচার হয় অনিত্য বস্তুতে নিত্যস্বরূপে বিচার (কোথায়)? দৃষ্টি এলে বিচারের ঠাঁই থাকে না।….যেমন দৃষ্টি তেমনি প্রাপ্তি।….সবই যে নিত্যানন্দময়।”
“স্বাধীন ইচ্ছা কারোর কি করবার জো আছে? তাঁর ইচ্ছাতেই চিরকাল সব হচ্ছে, আর হবেও। আঘাত পেতে পেতে তবে বোঝা যায়।….নামের ওপর খুব জোর
দেওয়া দরকার।”