সিগমন্ড ফ্রয়েড ১৮৫৬ সালের মে মাসে তৎকালীন অস্ট্রিও সাম্রাজ্যের মোরা ভিয়াকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন মনো চিকিৎসক ছিলেন। সেই সঙ্গে মন সমীক্ষণ তত্ত্বের আবিষ্কর্তাও ছিলেন। অবশেষে ইনি ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এই জীবন ত্যাগ করেন। এনার কিছু উপদেশ নিচের উল্লেখ করা হলো।
“গণিকাবৃত্তি পৃথিবীর আদিমতম ব্যবসা।”
“প্রকৃতির নিয়মে বালিকারা যেমন এক লহমায় যুবতী হয়ে যায়, সমবয়সী পুরুষের চেয়ে শরীরে মনে অনেক বেশী পরিণত, সেই ইঙ্গিতে তারাই আগে পা রাখে বার্ধক্যের ঊষর প্রান্তরে।”
“একথা স্বীকার করতেই হবে যে, মানবসত্তা পুরুষ ও নারীর যুগলবন্দি শুনতে চায়, তার এক হাতে পৌরুষের উদ্দাম মন্দিরা অপর হাতে নারীত্বের মরমী সেতার। এই দুই নিয়েই বেজে ওঠে জীবনের কনসার্ট।”
“পুরুষ ও নারীর মধ্যে তেমন কোনো যৌন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। শরীরের সম্পূর্ণ সুখানুভূতির জন্য তারা হলো একে অন্যের পরিপূরক।”
“সব পূর্ণতারই থাকে নিজস্ব অহমিকা।’
“কিছু কিছু যৌন নির্ভরশীলতা হলো আবশ্যকীয়, যা প্রেমের বাঁধনকে সুসংহত ও সুসংবদ্ধ করে।”
“যৌন ইচ্ছা কোনো পাপের পরিণতি নয়, এ হলো জীবনের স্বাভাবিক সুন্দর বহিঃপ্রকাশ।”
“একটি সুন্দরী নারী দর্শনে পুরুষের মনে এবং একটি বলিষ্ঠ স্বাস্থ্যের সুপুরুষ দর্শনে নারীর মনে আসক্তি ও কামভাব জাগ্রত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকত্বের মধ্যে যারা অন্যায় ও পাপ অনুসন্ধানে তৎপর হয়, তারা অসুস্থমস্তিষ্ক৷”
“যে মেয়ে একবার তুলে দেয় শরীরের সমস্ত উপহার, সে কিছুতেই ভুলতে পারে না সেই প্রেমিক অথবা সুপুরুষের মুখ।”
“সেক্স ব্যতীত প্রেম অলীক কল্পনা মাত্র।”
“রমণীত্ব হলো সেই গুণ, যা নারীকে বহু পুরুষের চোখে ভোগ্যা করে তোলে।”
“আমার মতে যে কোনো শিশুই স্বার্থপর, অপরাধপ্রবণ এবং আত্মসুখী। শিশুর যদি পর্যাপ্ত শক্তি সাধ্য থাকতো তাহলে সে গোটা পৃথিবীটাকে বুঝি ধ্বংস করে ফেলতো।”
“সঙ্গমেচ্ছা কোনো পাপের পরিণতি নয়। এ হলো জীবনের স্বাভাবিক সুন্দর বহিঃপ্রকাশ।”
“প্লেটোনিক অর্থাৎ শরীর বিহীনতায় অতল জলে ডুব দিতে পারে না। তাকে শারীরিক সৈকতে পা রাখতেই হবে।”
“শরীরকে বাদ দিয়ে যদি প্রেম সম্ভব হতো তাহলে বিয়ের কোনো প্রয়োজন পড়তো না।”
“আজ অবধি পৃথিবীতে যত বিবাহবিচ্ছেদ মামলা দায়ের করা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার অন্তরালে আছে যৌন অতৃপ্তি। যৌনতা হলো এক অলৌকিক মোড়ক যার সাহায্যে আমরা যে কোনো সাংসারিক ত্রুটিকে ঢেকে রাখতে পারি।”
“সৃষ্টির ঊষাকাল থেকে আমরা দেখে আসছি যে, যৌনতার মাপকাঠিতে মেয়েদের মূল্যায়ন হয়ে থাকে।”
“সকল ক্ষুধার শ্রেষ্ঠ ক্ষুধা যৌনক্ষুধা।”