শ্রীমৎ মহেন্দ্ৰনাথ ১৮৪৫ সালে ভারতীয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি একজন শক্তি সাধক কবি ও গায়ক ছিলেন। ইনি প্রেমিক নামেও পরিচিতি ছিলেন। অবশেষে ইনি ১৯০৯ সালে ভারতে মারা যান।
“যে যা খুশি বলে বলুক, সদাই বলবো ‘কালী কালী’। মান-অপমান সবই সমান মায়ায় দিয়ে জলাঞ্জলি।”
“মায়া-মোহ, ভোগ, তৃষ্ণা দেবে তোরে যতো তাড়া। বোবার মতো থাকবি বসে, সে কথায় না দিয়ে সাড়া। নিবৃত্তিরে লয়ে সাথে ভ্রমণ করো তত্ত্ব পথে। নৃত্য করো প্রেমে মেতে, সদা ‘কালী কালী’ বলে। ঘুচিবে ত্রিতাপের জ্বালা…….শান্তি ধামে করবি লীলা,—এ যুক্তি প্রেমিক বলে।”
“জীবনে চলার পথে সর্বদা সৎ শোভন সুন্দর থাকার চেষ্টা করবে। মনে রাখবে, ঈশ্বর জীবন দিয়েছেন এই মহৎ কর্মসম্পাদনের জন্য। আমরা যদি সেই কাজটি ঠিকমতো করতে না পারি, তাহলে মানবজন্ম গ্রহণ করে কী লাভ?”
“আন্তরিকভাবে ঈশ্বরকে জানতে চাইবে। ঈশ্বর তোমার সামনে তখন দেখা দেবেন। আর যদি তুমি মনে কোনো লোভ লালসা রেখে ঈশ্বরের সাধনা করো, তবে ঈশ্বর তোমার থেকে ক্রমশ আরও দূরে চলে যাবেন।”
“কৃপা ছাড়া কখনো দর্শন হয় না। ঈশ্বর জ্ঞানসূর্য। তিনি আছেন বলেই পৃথিবী শুন আলোকিত হচ্ছে, তিনি আছেন বলেই তাপের সঞ্চারণ ঘটছে। তিনি আছেন বলেই পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন শোনা যায়। তাই তাঁর কৃপা না পেলে আমরা কখনো তাঁর সান্নিধ্য উপলব্ধি করতে পারব না।”
“জপ থেকে ঈশ্বর দর্শন সম্ভব হয়। তবে এই জপ করা খুব একটা সহজ নয়। সব সময় তাঁর কথা মনে রাখতে হবে, তাঁর নাম শ্রবণ করতে হবে, তবেই আমরা তার সান্নিধ্য লাভ কতে পারব।”
“শুধুমাত্র শাস্ত্র পড়ে কোনো লাভ হয় না। শাস্ত্রের সাথে মানুষের জীবনের নৈকট্য না থাকলে সেই শাস্ত্র কি আমাদের কোনো শিক্ষা দিতে পারে? শাস্ত্র পাঠ করা অবশ্য উচিত, সেই শাস্ত্র পাঠ করে আমরা তার থেকে উপযুক্ত বিষয়টুকু গ্রহণ করব।”
“চোখ চেয়েও ধ্যান করতে পারা যায়। কথা বলতে বলতেও ধ্যান করা সম্ভব। আবার নির্জন নিরালাতে গিয়েও আমরা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় থাকতে পারি না।”