আশাপূর্ণা দেবী ১৯০৯ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ড একদিকে লেখক ও সাহিত্যিক এবং অপরদিকে উপন্যাসিক। ইনি রবীন্দ্র পুরস্কার এবং পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছিলেন। অবশেষে এ নিয়ে ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে কলকাতায় থাকাকালীন শেষ জীবন ত্যাগ করেন। এনার কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হলো।
“সংস্কৃতির সঙ্গে সাহিত্যের যেন পিতাপুত্র সম্বন্ধে যদিও কে পিতা কে পুত্র সে মীমাংসা করা শক্ত। কে বলবে সাহিত্যই সংস্কৃতির ধারক অথবা সংস্কৃতিই সাহিত্যের বাহক। সাহিত্যের দায়িত্ব কম নয়। কেবলমাত্র আনন্দ পরিবেশনেই তার কর্তব্য শেষ হয় না। সাহিত্যের কাজ অতীত কালকে রক্ষা করা, বর্তমান কালকে বহন করা, ভবিষ্যৎ কালকে সৃষ্টি করা।”
“আত্মজীবনী আর পত্রসাহিত্য অনেকটা এক জাতের। আবার পার্থক্যও আছে। এর দু জায়গাতেই নায়ক হচ্ছেন স্বয়ং লেখক নিজে। তবে জীবনীর মধ্যে যদি সেই আমিরূপী নায়কের প্রকাশ, তো পত্রসাহিত্যে তার বিকাশ। সাহিত্যই চেতনাকে পৌঁছে দিতে পারে অনাস্বাদিত রসলোকে, এনে দিতে পারে সীমার মধ্যে অসীমের, দেহের মধ্যে দেহাতীতের সন্ধান। সাহিত্যই বলে বিশ্বের সমস্ত ভালোবাসাই এক, বিশ্বের সমস্ত আনন্দই এক, বিশ্বের সমস্ত মানুষের কান্নাই এক।”
“কিন্তু সাহস করে বলতে পারার অভাবেই তো কত জীবন অর্থহীন হয়ে যায়, কত জীবন বিস্বাদ।”