Mohammad Rahmatulla Quotes in Bengali – মোহাম্মদ রহমতুল্লাহের ৫০+ ভালোবাসার বাণী সমূহ ।
মানুষের কাজেই কিন্তু মানুষের পরিচয়- কোথায়, কার বাড়িতে, কোন বংশে জন্ম, সেসব দিয়ে যে সব ব্যাক্তি মানুষকে বিচার করে থেকে, অবিসম্বাদিতভাবে তা কিন্তু হীনমন্য ব্যাপার।
কল্পনা না থাকা মানুষ যেমন পঙ্গু, তেমনি স্বপ্ন যে মানুষর নাই সে অথর্ব।
মানুষের সব ধরনের চেষ্টা এবং সাধনার কেন্দ্রে রয়েছে খ্যাতির মোহ।
গড়ে গরমিল হলেই গেরো। গড়মিলে গরমিল নেই এ কথা বলা ঠিক নয়। গড়পড়তা গড় অংক সবাই কষতে পারে না। গড়ে গরহাজির কম। গড় হয়ে প্রণাম করতে হয়। কুকুরের তাড়ানায় গর গর করে গজরাতে গজরাতে বিড়ালটা গড়াগড়ি দিতে লাগলো। হিসেবে গরমিল হয়ে গেলে জীবনের গড় আয়ু কমে যায়।
গোলাপ ফুলের সাথে একটা রূপসী নারীমুখ না হলে গোলাপের যথাযথ মর্যাদা ফুটে ওঠে না। তাই প্রশ্ন থেকে যাই গোলাপ আর সুন্দরী রমণী কে কার অলংকার।
যে সব ব্যাক্তির মধ্যে যত প্রেম বেশি, তার মধ্যে ঘৃণাও তত বেশি।
মানুষ যেখানে যত দূর-দূরান্তে যাক, যত বেশি সুখের মধ্যেই থাকুক না কেন, নিজের গৃহের জন্য ওই ব্যক্তির প্রাণ কাঁদবেই।
সব শিক্ষিত বাঙালি যেন চাকরির জন্য জন্মায়। সরকার এত সব চাকরি দেবে কোথা থেকে? সরকারের হাতে চাকরির তৈরির কারখানা নেই।
ছলনায় তো ছেনালি নারীদের সম্বল, ছেনাল পুরুষদের মূলধন।
জীবন বিচিত্র আশা, বিচিত্র আনন্দ, বিচিত্র সুখ – দুঃখ, বিচিত্র স্বপ্ন-চিন্তা, বিচিত্রা সৌন্দর্য আর সংস্কৃতির খেলা।
যদি দেখা যায় টাকায় এই পৃথিবীকে চালায়।
চুরি করা যার মধ্যে অরুচি লেগে গেছে, সে করে থাকে এবার ডাকাতি।
তরুণরা যেকোনো ধরনের দুঃখ, যন্ত্রণা, আঘাত, অপমান সহ্য করতে পারে। কিন্তু নিজেদের ব্যক্তিত্ব আর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মেনে নিতে পারে না।
তরুণ ও তরুণীরা সূর্য, স্বাধীনতা, ঝর্ণা এবং আনন্দের সন্তান, তাদের স্বার্থের কাটছাট বা স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ তারা সইতে পারে না।
তরুণ তরুণীরা তারুণ্যকেই কুর্নিশ করে, যৌবন ধর্মকে দেয় পুজো।
এই উপমহাদেশের যেকোনো দেশে বাস করে তাজমহল না দেখাটা বিরাট এক বোকামি। একবার এই অপরূপ কীর্তির সান্নিধ্যে গেলে, বারবার মায়াবী নারীর মত হাতছানি দিয়ে আপনাকে ডাকবে।
তাজমহলের পানে একটিবার অর্থবিদ্দের মত চোখ নিয়ে দেখো, দেখতে পাবে ওটি বেকার ব্যয় ও বকামিতার একটি জীবন্ত প্রতীক ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আমরা নহি তোমাদের তুল্য, তোমরা আছো বলে আমাদেরই মূল্য।
মানুষের দরকারের শেষ নেই, এই নেই ওই নেই, ওইটার দরকার, ঐটা যদি হয় আরেকটা দরকার, একটু খানি হলে আরেকটুর দরকার, বসা হলে শোয়ার দরকার, বউ হলে বাচ্চার দরকার, গাড়ির দরকার, বাড়ির দরকার, সুন্দরী নারীর দরকার, দরকার তাই সীমাহীন।
বিয়ে হল কিন্তু হাড়ি পাতিল কিনলাম, বাসা নিলাম, দেহের ক্ষুধা মিটবে, বংশ রক্ষা হবে- কোন অন্তরের স্পর্শ নেই, আছে শুধু পার্থিব কর্তব্য ও ভোগের তারানা- একে বলে সংসার। আর নর নারীর এই জাতীয় উত্তাপহীন, প্রেমহীন, হৃদয়হীন মিলিত জীবনযাপন কে বলা হয় ‘সাংসারিক জীবন’ – দাম্পত্য জীবন নয় কোনমতেই।
সেটেল্ড তথা আয়োজিত বিবাহের দম্পতির জীবনে কাম বা জৈবিকতা হলো শেষ বা চূড়ান্ত কথা। ভালোবাসার চেষ্টা যেখানে একপ্রকার ঢং, ভারং বা ভানমাত্র। কিন্তু প্রেমিক দম্পতি সারাজীবন শুধু একটি দেবতারই উপাসনা করে, সে দেবতা হল কিউপিক বা অ্যাপেলো – বিশ্ব যাদেরকে ‘প্রেমের দেবতা’ বলেই জানে।
দেহ সর্বস্ব বা যৌনতা ভিত্তিক যে দাম্পত্য জীবন তা একান্তভাবে আরণ্যের আদিম জীবন। আধুনিক জীবনের অন্যতম ও অনির্বিচনীয় অনুষঙ্গ হলো প্রেম।
ভালোবাসায় লিপ্ত দুইজন নারী ও পুরুষের জীবন-যৌবন, এবং সহবাসযুক্ত জীবন্ত আনন্দ-অনুভূতি এবং অনির্বচনীয় খুশি ও তীব্রতায় সম্পূর্ণ থাকে।
প্রেমহীনতার বেদনামি মিশ্রিত ও অভিশাপ ভরা যে দাম্পত্যজীবন, কেমন জীবনে অধিকাংশ স্ত্রী ক্রীতদাসীর সমান।
প্রেমিক দম্পতি যখন ঘনিষ্ঠ হয়, কাছাকাছি আসে, সামনাসামনি এসে বসে, পাশাপাশি হাঁটে চলে, তখন উভয়ের শরীর থেকে, শ্বাস প্রশ্বাস থেকে, অন্তরের নিভৃত গোলাপী উদ্যান থেকে অনির্বাচনীয়, অজ্ঞাত ও এক স্বর্গীয় সৌরভ এবং অপরূপ মধুর সোঁদা সোঁদা এক সুগন্ধ ম-ম করতে থাকে। এই সৌরভ অনুক্ষণ উভয়ের অন্তরকে, চেতনাকে, অনুভূতিকে সুরভিত, সুবাসিত, পুলকিত ও রোমাঞ্চিত করে রাখে। মনে হয় জীবন অনন্ত, যৌবন অনন্ত, প্রেম অনন্ত।
দাম্পত্য জীবন মানে আজীবন দুটি সত্তার দুদিকে দড়ি টানাটানি। একজন গর্বোন্নত মস্তকে দান করবে। অন্যজন তা নত মস্তকে গ্রহণ করবে জীবন ধারণের প্রয়োজনে মানব জীবনে এর চাইতে বড় অপমান ও ট্রাজেডি আর হয় না।
ধনলিপসা মানুষের কোনদিন শেষ হয় না। মিলিয়ন ডলার ম্যান বিলিয়ন ডলারের অধিকারী হতে চাই।
নতুন কিছুর মান্যতা ও স্বত্ব অনেক বেশি পুরাতনের তুলনায় – এই কথা অসহ্যনিও হলেও না মানার কোন জায়গা নাই।
এই বিশ্বভুবনের সমস্ত জিনিস আবর্তিত হচ্ছে নারীকে লক্ষ করে, নারী ছাড়া পৃথিবী অনুভব করা যায় না মোটেও।
পুরুষ ছাড়া নারী, নারী ছাড়া পুরুষের জীবন চলতে পারে? অবিবাহিত পুরুষ ও নারীর ইতিহাস নিয়ে দেখো রাতে তাদের কারও ঘুম হয় না।
সাধারণ ভাবে অসামাজিক মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে নিঃসঙ্গ ব্যাক্তি।
আপন চলার পথ কিন্তু নিজেকেই খুঁজে – বেছে বের করে নিতে হয়।
কিছু না দিয়ে কিন্তু কিছু মোটেও পাওয়া যায় না।
শুধু প্রতিবাদ নয় মাঝেমধ্যে প্রতিঘাত প্রত্যাঘাতও করতে হয়।
প্রেম এমনই এক অদৃশ্য বন্ধন যে, কেবলই একে অপরকে বেঁধে রাখতে চায়। ভালোবাসা এমনই এক মায়াডোর যে, কেবলই তা কাছে ধরে রাখতে চাই প্রিয়জনকে।
নরনারীর দেহের প্রতিটি শাখা প্রশাখায় ঘুমিয়ে থাকে অসংখ্য কামনার পাখি। প্রেমের উষ্ণ উত্তাপ পেয়ে সেগুলো চক্ষু মেলে জেগে ওঠে। গেয়ে ওঠে সুমধুর গান। প্রেমহীন দাম্পত্যজীবনে আলো-বাতাস, হাসি-কান্না পবিত্র জ্যোৎস্না বা সূর্যালোক কিছুই থাকে না।
প্রেম সভ্যতার শ্রেষ্ঠতম আবিষ্কার
বালক-বালিকাদের কাছে ভালোবাসা একটি বাতিকের মতো, বয়সন্ধিক্ষনের যুবক-যুবতীদের কাছে বিশেষ প্রয়োজন, সেটি বয়স্ক প্রাপ্ত পুরুষ ও মহিলাদের কাছে অভ্যাস স্বরূপ ।
ভালোবাসা যদি হয় ভূমিকা, তাহলে বিয়ে হয় পরিপূর্ণতা।
প্রেমের নেশা একবার যাকে ধরেছে, তার কাছে অন্য নেশা নেশাই নয়।
প্রেম যমুনায় একবার ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা দায়।
ভালোবাসা যেমন জোর করলেও পাওয়া সম্ভব নয়। তেমনি ভালোবাসা দিয়েই কিন্তু ভালোবাসা আদায় করতে হয়।
যুবক যুবতিরা ভালবাসবেই, বসন্ত ফুল ফোটাবেই, পাখি গান গাইবেই, প্রজাপতি উড়বেই।
নারীর সৌন্দর্য এবং মানবহৃদয়ের প্রেম জগতে এক অসীম রহস্য, অগাধ বিস্ময়, অনন্ত সম্পদ।
সেক্স ও প্রেম বিধাতার সর্বশ্রেষ্ঠ দান
ভেবেচিন্তে দেখেশুনে যাচাই-বাছাই করে কখনো প্রেম করা যায় না। প্রেম হঠাৎ হয়ে যায় এবং ঝড়ের বেগে দুজনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ভাববার বা পেছনে ফিরে তাকাবার ফুরসত পাওয়া যায় না।।
যৌবন বসন্ত ও প্রেম সমর্থ্যবোধক
বসন্তে তো ফুল ফুটবেই। যুবতীদের বুক তো উঠবেই, যৌবনে মানুষ তো প্রেম করবেই। নারীরা নিতম্ববতী হবেই তো।
মদের নেশাতে যেমন মানুষ হয়ে থাকে মাতাল, তেমনি প্রেমের নেশাতে মানুষ হয়ে থাকে পাগল।
দেহের মাধ্যমে যেমন অপরের দেহ উপভোগ করা যায়। তেমনি প্রেমের মাধ্যমে একে অপরের ভাবনাকে স্পর্শ করা যায়।