অর্ধেন্দুশেখর ভট্টাচার্য ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় চলচিত্রশিল্প। তিনি চলচ্চিত্র জগতে একজন মুখরিত ব্যক্তি। এনার কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হলো।-
“মানুষের বুদ্ধি যত বেড়েছে, অভিজ্ঞতা যেমন যেমন দানা বেঁধে উঠেছে, মানুষ তত বেশি নিপুণভাবে শোষণের প্রথা—প্রকরণ খুঁজে পেয়েছে এবং তেমন তেমন প্রয়োগের ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে।”
“আমরা কেউ কারো মুখ দেখি না, দেখতে সুযোগ পাই না। একের পর এক মুখোশকে দেখি আর তাকেই মুখ বলে মনে করি। পেঁয়াজের খোসাকেই পেঁয়াজ বলে মনে করি। আমরা প্রত্যেকেই এক একটি মুখোশের প্রসেশন, খোসার পরস্পর সংযোজন ।”
“ফাঁদকে এড়িয়ে চলতে গিয়েই প্রকৃত ফাঁদে পা দিয়ে ফেলা সহজ। প্রেমের ফাঁদে ট্রাজেডি আছে, তার থেকে বড় ট্রাজেডি হল সেই ট্রাজেডিকে এড়িয়ে যাবার ট্রাজেডি। আমাদ্রের স্লোগান, সময় থাকতে ফাঁদে পা দাও।”
“মন একটা গোলক ধাঁধাও তো বটে। মনের মধ্যে মন, আবার তারও মধ্যে মন আছে। তবেই বুঝুন। মন তাই জিলিপির মতোই শুধু নয় তার চাইতে বেশি কিছু। কারণ সে আছে, আমাদের মধ্যেই অবস্থান করে চলেছে, কিন্তু তার হাল-হকিকৎ তত্ত্ব-তালাশ অজ্ঞাত।”
“মনের গভীরে অদৃশ্য মনোভাবকে মুখের দৃশ্য—ভাবরেখায় লুকিয়ে রাখা একটি শিল্পকর্ম। ক্যামোফ্লেজ। সে কেবল মানুষের পক্ষেই সম্ভব। তখনই মুখোশ। যন্ত্রণা তাদের যারা ছোট, কিন্তু জানে যে তারা বেশ বড়ো। তাই কেউ যদি বেশি বড়ো হয়ে দেখা দেয় তা হলে এই আসলে ছোট কিন্তু মনে মনে বড়দের জ্বালা ধরে যায়। স্বাভাবিক নয়?”