শ্রীমৎ বিহারী বাবা ১৮৫৯ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্ম থেকেই তিনি হিন্দু ধর্মের প্রতি খুবই আগ্রহী একজন ব্যক্তি। পরবর্তীকালে তিনি সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেন, এবং ঈশ্বরকে পাওয়ার জন্য তিনি তপস্যা করবেন। ইনি ছিলেন একজন আধিকারিক ধ্যানযোগী। অবশেষে ইনি ১৯১২ সালে মারা যান। এনার কিছু উপদেশ নিছে উল্লেখ করা হল।-
“সাধারণে পরের ছিদ্র অনুসন্ধান করে, আর সাধু পরের ছিদ্র সংশোধন করেন। অহংবদ্ধ জীব ও সাধুগণের এই পার্থক্য।”
“বাইরের শত্রুর থেকে নিজের অন্তরের শত্রুই মানুষের বেশি দুঃখদায়ক। মনের বিক্ষিপ্ত অবস্থায় যা কিছু ভাবা যায়, তা-ই প্রমাদবশতঃ ভুল, অনৈতিক হতে পারে। …. মন শান্ত না হলে, ন্যায় বিচার আদৌ আসতে পারে না।…..শুচি অশুচি কেবল মনের সংস্কার মাত্র। ভগবানই নানা রূপে সর্বত্র প্রকাশিত, এই জ্ঞান সর্বদা মনে জাগ্রত রাখবে।”
“ভোগাসক্তদের মৃত্যুচিন্তা নেই। আর যারা ভোগাসক্ত নয়, তারা বোধ হয় মৃত্যু চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকে।”
“দারিদ্র্যতার মধ্যেও মনে সাহস থাকা দরকার। যে মাঝি ঝড় তুফানের রাতে ঠিকমতো নৌকার হাল ধরে থাকতে পারে, তিনি প্রকৃত মাঝি।”
“সবকিছুই তাঁর ইচ্ছানুসারে সংঘটিত হচ্ছে। তিনি কাউকে সংসারী, কাউকে ত্যাগী, কাউকে বিষয়ানুরাগী, কাউকে ধ্যানী করেছেন।”
“নিষ্কামভাবে কাজ করে যাবে। এই কর্মের দ্বারা তুমি কী ধরনের ফললাভ করছ, সেদিকে দৃষ্টিপাত করবে না।”
“বুদ্ধি আধ্যাত্মজগতে বেশিদূর এগোতে পারে না। তবে বুদ্ধি ছাড়া আমরা পথ চলব কেমন করে ?”
“ব্রহ্মময়ী মা ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো কিছুই চিরন্তন বা শ্বাশ্বত সত্য নয়। মা-ই হল একমাত্র সত্য অর্থাৎ পরমব্রহ্ম। তাঁকে দর্শন করাটাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।”
“মনন করে, চিন্তা ভাবনা করে নিজের উন্নয়নের পথ খুঁজতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই কাজে তোমায় কেউ সাহায্য করবে না।”