স্বামী বিশ্বদ্ধানন্দ সরস্বতী ১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একদিকে ছিলেন ব্রহ্মচারী এবং অপরদিকে ছিলেন আধ্যাত্মবাদী একজন ব্যক্তি। তিনি ১৯৯৫ সালের মে মাসে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। উনার কিছু আধ্যাত্মিমূলক বাণী ( quotes on spirituality ) নিচে উল্লেখ করা হল।
“দ্বন্দ্বাতীত, গুণাতীত আত্মবোধে জীববৃত্তির উত্তরণে আত্মচৈতন্যের অমৃত স্বরূপ উপলব্ধি হয়। আত্মজ্ঞানীর চেতনায় তাই জন্মই বা কই, মৃত্যুই বা কই।”
“লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য ইত্যাদি ইন্দ্রিয়পরায়ণতাকে বর্জন করার চেষ্টা করবে। তবে মুখে এই কথাটি বলা সহজ, কিন্তু কাজে প্রমাণ করা খুব একটা সহজ নয়।
এর জন্য নিষ্ঠা দরকার, দরকার ত্যাগ এবং তিতিক্ষা।”
“যে পরমসত্তা সুখদায়ক পূর্ণকাম, তিনি সর্বত্রব্যাপ্ত। বেদজ্ঞান ছাড়া এই সত্তার স্বরূপ আমরা উপলব্ধি করতে পারি না।”
“ঈশ্বরের আনন্দ স্বরূপস্বীয় আত্মবোধকে উদ্বুদ্ধ করার নামই হল সত্যিকারের উপাসনা”
“ধ্যান করা মানে সকলের থেকে আলাদা হয়ে জীবন কাটানো নয়। ধ্যান করা মানে সকলের সাথে মিলেমিশে চলার শক্তি অর্জন করা।”
“ধ্যানাস্থিত চিত্ত কী অবস্থায় বিরাজ করে? ধ্যান মগ্নচিত্ত মৌন অবস্থায় থাকে। তখন পারিপার্শ্বিকতার কোনো অভিজ্ঞতা সে লাভ করতে পারে না। মনের এই অবস্থার কথা আমরা সহজে উপলব্ধি করতে পারি না।”
“নিজের স্বভাবের যথাযথ রূপান্তর না ঘটাতে পারলে আমরা সমাজের সার্বিক রূপান্তর করতে পারব না।”
“আমরা সকলেই আত্মাজ্ঞানের অধিকারী, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই আত্মজ্ঞানের স্বরূপ আমাদের সামনে প্রতিভাত হয় না।”
“বাহ্য বা সাধারণ দৃষ্টিতে সাধুদের বিচার করতে নেই। এইভাবে বিচার করলে আমরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব কখনোই উপলব্ধি করতে পারব না।”
“রূপ-রস-মায়া-গন্ধ-বর্ণ-স্পর্শ—এসব হল বাহ্যিক আচরণ। এ সবের অন্তরালে আর একটি বিষয় লুকিয়ে থাকে, সহজে তাকে দেখা সম্ভব নয়।”
“কোনো মহাপুরুষ অমর অক্ষয় নন, তাঁরা একদিন মহা-প্রয়াত হন, কিন্তু তাঁদের বাণী থেকে যায়।”