স্বামী অভেদানন্দ ১৮৬৬ সালের অক্টোবর মাসে বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈশব অবস্থায় এনার নাম ছিল কালীপ্রসাদ চন্দ্র। তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের একজন বিশেষ শিষ্য ছিলেন। ইনি অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি ছিলেন। ১৮৮৬ সালে ইনি সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেছিলেন। অবশেষে ইনি ১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।এনার কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হলো।
“মানুষের প্রাণাত্মা মৃত্যুর পর যে-কোনো গ্রহ-উপগ্রহে গমন করিতে পারে, অথবা এই পৃথিবীলোকেই সে পুনরায় জন্মগ্রহণ করিতে পারে। তবে এই জন্মগ্রহণ করা বা না করা জীবাত্মার প্রকৃতি এবং তাহার সমগ্র জীবনের প্রবৃত্তি ও মনের ইচ্ছাশক্তির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে।”
“ভালোবাসা দুইজন ব্যক্তি বা প্রাণীর মধ্যে আকর্ষণ ছাড়া অন্য কিছু নয়। বলা যায়, আত্মায় আত্মায় আকর্ষণের নাম ভালোবাসা বা প্রেম। শরীরের মৃত্যুতে এই প্রেম বা ভালোবাসার কখনোও নাশ হয় না। প্রকৃত ভালোবাসা মৃত্যুর পরেও থাকে এবং তাহার বিকাশও উত্তরোত্তর বর্ধিত হয়। এই ভালোবাসা দুইটি আত্মায় পরস্পর মিলন-সাধন করাইয়া দুইটিকে অভেদ ভাবাপন্ন করে।”
“যদি আমার প্রসিদ্ধ একজন শিল্পী হইবার প্রবল বাসনা হৃদয়ে থাকে এবং সমগ্র জীবন চেষ্টা সত্ত্বেও সেই রূপ প্রসিদ্ধ শিল্পী হইতে না পারি তবে সেই অপূর্ণ বাসনার জন্য মৃত্যুর পর পুনরায় এমনই পিতামাতা রূপ ক্ষেত্রে ও পরিবেশের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া আমাকে জন্মগ্রহণ করিতে হইবে যেন সে ক্ষেত্র ও পরিবেশ আমাকে পুনর্জন্ম গ্রহণের পর একজন শ্রেষ্ঠ শিল্পীতে পরিণত করিবার জন্য সাহায্য করে।”
“প্রত্যেক ভুল মানুষের জীবনে একটা শিক্ষা বিশেষ।”
“পিতামাতারাই আসলে সন্তানদের পরিবেশ সৃষ্টি করিবার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকার অংশগ্রহণ করেন, ইহা ছাড়া তাহাদের আর কোনো উপযোগিতা নাই ।”