শ্রীমৎ স্বামী ধ্রুবানন্দ গিরি ১৮৭৩ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি ঈশ্বর উপলব্ধির জন্য ব্যক্তিদেরকে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য কিছু উপদেশ প্রদান করবেন। তিনি ছিলেন একজন অদ্বৈতবাদী জ্ঞানযোগী। অবশেষে ইনি ১৯৪৪ সালে মারা যান। এনার কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হলো।
“এই মনকে মনের মতো করতে হলে সেই সর্বধারাকে ধরো, যিনি আমাদের ভেতরে বাইরে পূর্ণ।…ব্যবহারক্ষেত্রে যা দ্বিতীয় (বস্তু) বলে মনে হয় তাও পরমাত্মা। মৃন্ময়ী শরীরও চিন্ময়।……যাকে সামনে পাবে তাকে ‘তিনি’ বলে প্রথম (ভেবে) নাও, পরে তার স্থূলভাব নিয়ে তার সঙ্গে ব্যবহারিক কার্য সম্পন্ন করো।”
“মায়ামুক্ত হয়েই চৈতন্যের জীবরূপে জগৎক্রীড়া। …..একমাত্র কর্তা তিনি। (স্বরূপতঃ এই) চৈতন্য সমস্ত জগতেরই সাক্ষী।”
“দ্রষ্টাই সকলের ভেতর দিয়ে সর্বদা সর্বত্র দেখছেন। এইভাবে ‘দ্রষ্টা’কে সর্বত্র উপলব্ধিই ব্ৰহ্মবিদ্যা।”
“অপরাপ্রকৃতিই (জড়) জগৎ। আর ‘আমি জীব’ বলে আমার যে জ্ঞান, তাই পরাপ্রকৃতি।”
“যা কিছু তোমার অনুভূতির মধ্যে ও বাইরে সমস্ত তিনি। ভাবও তিনি, অভাবও তিনি। এইরূপে নিজভাবকে শরীরাভিমান বিস্মৃত হয়ে অভ্যস্ত ভাবে পরিণত করতে
পারলে কোনো ভাবই আর কাতর করতে পারে না।….নিজেকে দুর্বল কোরো না। দুর্বলতা মনের।”
“এই অহং-এর দুই মূর্তি। যখন শরীরের ভাবে ভাবিত হয়ে ‘আমিই কর্তা ও ভোক্তা’ এইরূপ অভিমান করে তখন এটি ‘অহং’-কার এই ‘অহং’ জ্ঞান যে অনুলোম ক্রমে ‘জীব’ হয়েছে, সেইরূপ বিলোম ক্রমে আবার ‘ব্রহ্মত্ব’ প্রাপ্ত হবে। এই বিলোমক্রমই সাধনা ।”