শ্রীমৎ রাজারামকৃষ্ণ ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ইনি কত সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। ইনি মানুষকে সঠিক পথে চলার জন্য কিছু জ্ঞানমূলক উপদেশ প্রদান করতেন। ইনি একজন মরমিয়া শক্তি সাধক ছিলেন। অবশেষে ইনি ১৭৭৫ সালে মারা যান । এনার কিছু জ্ঞানমূলক উপদেশ (knowledgeable quotes by RajaRamkrishna) নীচে উল্লেখ করা হলো।-
“অনন্ত রূপিনী কালী; কালীর অন্ত কেবা পায় !”
” ভবে সেই যে পরমানন্দ, যে জন পরমানন্দময়ীরে জানে, সে যে না যায় তীর্থপর্যটনে, কালীকথা বিনা না শুনে কানে। সন্ধ্যা পূজা কিছু না মানে, ‘যা করেন কালী – ভাবে সে মনে ৷”
“মন যদি মোর ভুলে, তবে বালির শয্যায় ‘কালী’র নাম দিও কর্ণমূলে, এদেহ আপনার নয়, রিপু সঙ্গে চলে। আনরে ভোলা জপের মালা, ভাসি গঙ্গাজলে।”
“কেবলমাত্র ঈশ্বরের জন্য মা-বাবার যে কোনো আদেশ লঙ্ঘন করা যেতে পারে। যদি কোনো মা ঈশ্বর উপাসনার ক্ষেত্রে বাধা স্বরূপ দাঁড়িয়ে থাকেন, তবে সেই মা হলেন অবিদ্যারূপিণী। ঈশ্বর পাবার জন্য যদি আমরা গুরুজনদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করি, তাহলে কোনো দোষ নেই।”
” জ্ঞানবিচারের শেষে আমরা সমাধিমগ্ন অবস্থায় চলে যাই। তবে এই সমাধিমগ্ন অবস্থা উপলব্ধি করা খুব একটা সহজ নয়। কোনো কোনো মহাপুরুষ অবশ্য শেষ পর্যন্ত এই অবস্থায় পৌঁছোতে পেরেছেন।”
“কখন আমরা পূর্ণজ্ঞানের অধিকারী হই? পূর্ণজ্ঞান হলে আমরা আর বাচিক শব্দের দ্বারা নিজের অহমিকা প্রকাশ করতে চাই না। কিন্তু পূর্ণজ্ঞান খুব একটা সহজ নয়।”
* যাঁরা আশ্রমে আছেন, তাঁদের যোগ কর্মের দ্বারা সিদ্ধ হয়। আমরা জীবনে চারটি আশ্রমের কথা বলেছি, প্রতিটির আলাদা আলাদা অবদান আছে।”
“কর্ম ছাড়া এক মুহূর্ত থাকার কোনো উপায় নেই। আমি চিন্তা করছি, আমি ধ্যান করছি এটিও এক ধরনের কর্ম সম্পাদন করা। ভক্তি লাভ করলে বিষয়কর্ম ধীরে ধীরে কমে যায়, কিন্তু আধ্যাত্মিক কর্মের প্রতি মন আরও উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে।”
“ঈশ্বরকে ভালোবাসো, ঈশ্বর দর্পণ ভালোবাসা তোমাকে ফিরিয়ে দেবেন, ঈশ্বরকে ভালোবাসো, ঈশ্বর তোমাকে কাছে টেনে নেবেন। ঈশ্বরকে ভালোবাসো, ঈশ্বর তোমাকে এমন এক জগতের বাসিন্দা করে দেবেন, যেখানে চির আনন্দ বিরাজ করছে।”
“ভক্তের জ্ঞানের সাথে চাঁদের আলোর তুলনা করা যেতে পারে। চাঁদের আলোতে কী হয়? এর দ্বারা আমরা অনেক দূরের জিনিস দেখতে পাই না। আর অবতারদির ‘ জ্ঞান সূর্যের আলো, ভেতর বাইরে সব কিছু পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায়।”
“প্রকৃতি অনুসারে ভক্তির তিনটি ভাগ আছে। ভক্তির সত্ত্ব ভাগ, ভক্তির রজঃ ভাগ, ভক্তির তমো ভাগ।”
“ভক্তির দ্বারাই জাতিভেদ প্রথা উঠে যেতে পারে, ভক্তির প্লাবনে সকলকে ভাসিয়ে দিলে এই প্রথা একদিন অবলুপ্ত হবেই।”