আব্রাহাম লিঙ্কন ১৮৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি ছিলেন একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি। অবশেষে ইনি ১৮৬৫ সালের এপ্রিল মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হলো।
“জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন, যা কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে না।”
“যদি কোনোদিন আমার নাম ইতিহাসে স্থান পায়, তাহলে আমার এই কাজটির জন্যই পাবে, এতে আমি নিজেকে পরিপূর্ণভাবে সমর্থন করেছি। পৃথিবীতে একজন মানুষ স্বাধীন সত্তা নিয়ে বেঁচে থাকবে, তাকে কেন আমরা ক্রীতদাস হিসাবে পরিগণিত করব। সমস্ত মানুষের স্বাধীন চিন্তা করার অধিকার আছে আমরা কেউই তার ওই অধিকার কেড়ে নিতে পারি না।”
“পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা বজায় থাকবে। একজন অন্যজনের ওপর অন্যায় অত্যাচার করতে পারবে না।”
“ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বিভাজন রেখাটি অবিলম্বে মুছে দেওয়া দরকার। না- হলে পৃথিবীতে কখনো শান্তি আসবে না।”
“অকারণে পররাজ্য লোভী হওয়া উচিত নয়। যদি যুদ্ধ করতেই হয়, তাহলে দরকার ছাড়া করা উচিত নয়।”
“নারী এবং শিশুদের আলাদাভাবে রক্ষা করা দরকার। কারণ তারাই হল এই সমাজের সুগন্ধিত পুষ্প।”
“যৌবন জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়, যৌবনকে কখনো অবহেলা করতে নেই।”
“পড়াশোনার প্রতি তীব্র আকাঙ্খা না থাকলে মানুষ জীবনে উন্নতি সাধন করতে পারবে না। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের এই ব্যাপারে আরো উৎসাহ দেওয়া।”
“বিকলাঙ্গদের প্রতি আলাদাভাবে নজর দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, তারা এই সমাজেরই একজন।”
“বার্ধক্য কোনো অভিশাপ নয়। বার্ধক্য হল জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি।”
“নীরোগ শরীর না থাকলে মানুষ কোনো কাজ করতে পারে না। নীরোগ শরীর রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম চর্চা করা উচিত।”
“আমরা সবাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহান আদর্শের প্রতি অনুগত থাকব। মনে রাখব সারা পৃথিবীতে মার্কিন দেশ এক অনন্য আসনে আসীন।”
“আগামী দিনের ইতিহাস রচিত হবে সাধারণ মানুষদের পরিশ্রমের দ্বারা। সাধারণ মানুষদের আমরা কখনো সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারব না।”
“যদি কেউ প্রশ্ন করে—আমি কী হিসাবে আপনাদের কাছে বেঁচে থাকব? আমি বলব, একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে। এই প্রেসিডেন্টের মুকুট আমার মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মুকুট না থাকলেও আমি লিঙ্কন হিসাবেই থাকব।”
“কখনো কোনো মানুষের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, যে কোনো সময় দাবার চাল উলটে যেতে পারে।”
“মার্কিন দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি সমস্ত পৃথিবীর সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।”
“বিরোধী পক্ষকে উপযুক্ত মর্যাদা দিতেই হবে। গণতন্ত্রের প্রতি তার মস্ত বড়ো স্থান আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই আপ্তবাক্যটি ভুলে যাই।”
“উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে অনভিপ্রেত কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। মনে রাখতে হবে, এই দুটি অঞ্চল নিয়ে আমেরিকা গড়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করা দরকার। মনে রাখতে হবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় চিরস্থায়ী হয় না।”
“আমেরিকার মধ্যে অনেক কিছু আছে, আছে অপরিমাপ্য প্রাকৃতিক সম্পদ, মানবিক সম্পদ, অর্থের জোগান, কিন্তু যেটার অভাব চোখে পড়ে তা হল দেশের প্রতি তীব্র ভালোবাসা। দেশকে ভালোবাসতে না পারলে আমরা কখনোই শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন করতে পারব না।