Atul chandra Gupta Quotes in Bangla – অতুলচন্দ্র গুপ্তের বাণী সমুহ জানুন বাংলায়।
“মানুষগণকে অখণ্ড করে দেখায় তাকে ভালো করে দেখা। কিন্তু যদি খন্ড খন্ড করে প্রথমেই তার পরিচয় না নেওয়া হয়, তাহলে তাকে অখণ্ড করে দেখা সাধারণত অসম্ভব।”
“পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাব আজও অজ্ঞাত রহস্য। তার চেয়ে গুড় রহস্য প্রাণীর শরীরে মনের বিকাশ। প্রাণের রক্ষা ও পুষ্টিতে মন যে পরম সহায়, এবং সে কাজে তার চেষ্টা যে ব্যাপক, এ অতি স্পষ্ট।”
“কোন বন্ধন থেকে কিন্তু মুক্তি চরম মুক্তি নয়। মুক্তিকে রক্ষার জন্য মানুষকে সবসময় অতন্দ্র থাকতে হয়। কারণ পুরনো বন্ধন নতুন নতুন রূপে মানুষের মুক্তচিন্তা ও হৃদয়ের ওপর বর্তমানের বিশ্ব অনুকূল মোটেই নয়।”
“রীতিবাদ গণেদের বিশেষ দোষ দেখিয়ে অন্য অলংকারিক গণেরা বলেন, নির্দোষ অবয়বে ভূষণযোগ করলেই অর্থ ও রূপ আসে না, দেহেও নয়, গীতিকাব্যেও নয়। নারীদেহের সৌন্দর্য ও রূপ যেমন অবয়ব সংস্থানের অতিরিক্ত কিছু অন্য জিনিস, তেমনি মহাকবিদের বাণীতে এমন বস্তু আছে যা শব্দ, অর্থ, বলার ভঙ্গি – এই সবের অতিরিক্ত বিষয় ছাড়া আরো কিছু, এই অতিরিক্ত বিষয় ও বস্তুই হল কাব্যের আত্মা।”
“দত্তদর্শী জ্ঞানীরা যেসব জ্ঞান ও উপদেশ করে গেছেন তাদের উপদেশ জ্ঞানের বাস্তব রূপ দেখা যায় বর্তমান ইতিহাসে।”
“মানুষজন পুরনো অতীতের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতে চাই, এবং আগামী ভবিষ্যৎকে নিজের স্পর্শ অনুভব করতে চাই। ইতিহাস এই আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তির একটি উপায় বিশেষ।”
“ইতিহাসের প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হচ্ছে পুরনোর আলোতে বর্তমানের পথকে দেখানো, সমাজজীবন ও গোষ্ঠীজীবন চলাচলের সঠিক ও বেঠিক পথ দেখিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা।”
” মানব জীবন যেমন অনেক নতুন ‘সঞ্চারী ভাবের’ তৈরি করে, কিন্তু তেমনি পুরানো ‘সঞ্চারী ভাবের’ বিলোপ ঘুটায়। যে সমস্ত ভাবগুলি মনের প্রয়োজনীয় উপাদান নয়, জটিলতা পূর্ণ যৌগিক সৃষ্টি জীবনের পারিপার্শ্বিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যে তাদের মূলত জন্ম হয়। এবং তার বিবর্তনে এদের বিলোপ ঘটে যায়।”
“মানুষের এই সর্বশেষ হৃদয় যে, শরীর ও মনের কাজের নয়। অন্য এক ধারণায় এক বিশেষ শ্রেণীর উদ্ভব করে চলেছে, যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো হৃদয়ের আপন তৃপ্তি ও আনন্দ ব্যতীত আর অন্য কিছু হতে পারে না। মন ও শরীরের যেসব বিষয় প্রয়োজনে লেগে থাকে সেগুলিই যদি লৌকিক হয়, তাহলে হৃদয়ের এই সৃষ্টি অলৌকিক একটি বিষয়।
” অতি চিরপরিচিত মানুষগনই বিশেষত মানুষের সারা জীবনকালের বিস্ময়। সেই চিরবিশ্ময়ের তথ্য বহন করে চলে থাকে ইতিহাস।”
“সমাজ জীবন ও সভ্যতার অভূতপূর্ব পতন বন্ধ যাত্রায় মানুষগণের গমন ও গমনের শেষের দিক দর্শন হচ্ছে ইতিহাস, ইতিহাস কোনো কাহিনী তৈরিকার নয়, ইতিহাস হচ্ছে উপদেষ প্রদানকারক। মানুষের সভাবের নিতান্ত তত্ত্বদর্শীগণেদের নীতিসূত্রের ভাষার রূপ হচ্ছে ইতিহাস।”
“কাব্যের মন বা আত্মা যাই হোক, এর শরীর হচ্ছে কাব্য -অর্থ সংযুক্ত পদ সমোচ্চায়। কাব্য দর্শনে ক্ষেত্রে যারা প্রধানত দেহত্ববাদী তারা বলেন, ওই বাক্য সুতরাং শব্দসমষ্টি ও অর্থ সমুহ ছাড়া কাব্যের আর স্বতন্ত্র মন বা আত্মা নেই। কাব্যের শব্দসমুহ আর অর্থকে আটপৌরে না রেখে সাজ-সজ্জায় সাজিয়ে দিলেই বাক্য সমুহ কাব্য হয়ে ওঠে অকপটে। আর এই সাজ-সজ্জার নামই মূলত অলংকার।”