Sami saradananda quotes | স্বামী সারদানন্দের মোটিভেশন বাণী

শ্রীমৎ স্বামী সারদানন্দ ১৮৬৫ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি একজন কর্মযোগী ছিলেন । অবশেষে ইনি ১৯২৭ মারা যান। এনার কিছু বানী নিচে উল্লেখ করা হলো। –

Photo by Pixabay

“উপস্থিত (দশা) কে অগ্রাহ্য করে, (পরে).শুভ সুযোগ আসবে, এই আশায় নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকা দুরাশা। … ভালো-মন্দ, উত্থান-পতন, সুখ-দুঃখের ভেতর দিয়েই যা করবার করে যেতেই হবে।…..শক্তির ব্যবহারেই শক্তির বৃদ্ধি। চলতে আরম্ভ করে কি মাঝখানে বসে থাকা যায়?…শিক্ষার মধ্য দিয়েই মনের শক্তি বৃদ্ধি হয়।…পরাজয়, বিফলতার মধ্যেই দৃঢ় বিশ্বাস হয় ।”

“তিনটে পথ আছে—বিশ্বাস করে চলা, অবিশ্বাস করে ছেড়ে দেওয়া আর খোলা মন নিয়ে সত্যানুসন্ধান করা। শেষটাই হলো যুক্তিযুক্ত বৃত্তি।”

“যারা….মূলাপ্রকৃতির সহজ স্বাভাবিক টানে, ভোগাসক্ত বহির্মুখী তাদের পক্ষেই কড়া শাসন দরকার। যদি মন অপেক্ষাকৃত শান্ত হয়েই যাকে, খুঁটিনাটি নিষ্ঠা আটসাঁট কী দরকার।….শরীরের ওপর মন সর্বদা দিলে ক্রমশঃ পতনই হয়।”

“জীবনটা শুধু মিলন, সৌন্দর্য, হাসির হিল্লোল নয়; প্রকৃতির অপর একটি করাল-ভয়াল মূর্তি, আধি-ব্যাধি, ধ্বংস, শোক, জরা, মৃত্যু প্রভৃতি কঠোর সত্যরূপ থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলে জীবনটা কিছুদিন নিরীহভাবে কাটে বটে, মঙ্গলময়ের কেবলb‘শিবমূর্তি’ পূজা করে।….নৃত্য, জ্যোৎস্না, ফুল……ইত্যাদি কেবল ভেবে ভেবে মন দুর্বল হয়ে পড়ে; ভয়ে ভয়ে কঠোর মহাকালের রূপ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, ফলে সাহস কমে যায়। অথচ ভগবানের রুদ্র মূর্তির পূজা করলে হৃদয়ে বলের সঞ্চার হয়।”

“কর্তব্য যা পেয়েছে তাই সুচারুরূপে করবে। গায়ে পড়ে কাজ জুটিয়ে নেওয়া দোষের…..অনেক কাজের ভার নিয়ে কোনোটাই উত্তমরূপে নিষ্পন্ন হয় না; ফলে উদ্বেগাদি উপস্থিত হয়ে চিত্ত বিক্ষেপ ঘটায়।”

“প্রত্যহ একই সাধন নিয়ে থাকলে কতকটা যান্ত্রিক ভাব এসেই পড়ে। তবে যেদিন যে সাধনটি ভাল লাগবে সেদিন অপর সাধনাংশ বাদ দিয়ে ওইটিই নিয়ে থাকবে। এইরূপে হয়তো দুই-চার দিন একটি সাধনা বাদই থাকবে পরে দেখবে ওটি করতে গিয়ে সরসতা আসছে। … নিষ্ঠা ও অভ্যাসের ফলও অবশ্য পাওয়া যায়। প্রত্যহ নির্দিষ্ট সাধনা করলে মনের শক্তি বাড়ে…… করতে করতে সাধনও সরস হয়।”

“নির্বিশেষ ব্রহ্মকে জানার পর যখন আবার মন-বুদ্ধির এলাকায় আসতে হয়, তখন ব্রহ্মজ্ঞ হওয়ার আগে (জীববোধে) জগৎ যেমন ছিল তেমনই প্রতিভাত হয় বটে, কিন্তু তাতে আসক্তি হয় না।….জ্ঞানলাভের পর জগৎ থেকেও নেই। যেমন মরীচিকার জল দৃষ্ট হলেও লোকে ঠিক জানে ওতে জল নেই। তেমনি (জগতের) নামরূপ থাকলেও তা মায়া ।”

“দুঃখকষ্ট চিরস্থায়ী নয়, শান্তি ও অশান্তি দু-ই ঠাকুরের ইচ্ছায় জীবনে আসে আমাদের শিক্ষার জন্য। সকল অবস্থায় অবিচলিত থাকতে হয়।”

“যে শক্তিরই উপাসনা করো, অতি পবিত্রভাবে শ্রদ্ধাসম্পন্ন হয়ে অগ্রসর হতে হবে। স্বার্থানুসন্ধানের নাম-গন্ধ পর্যন্ত মন হতে দূরে রাখতে হবে। নতুবা সিদ্ধি অসম্ভব এবং অনেক সময় বিপরীত ফলেরও উদয় হয়।”

Leave a Reply