শ্রীমৎ ঠাকুর বিশ্বনাথ ১৯১৩ সালের আগস্ট মাসে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইনি ছিলেন একজন মরমীয়া যোগী। ইনি মানুষকে ঈশ্বরের পথে আসার জন্য আহান জানাতেন। সেইসঙ্গে কিভাবে নিজেকে ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত করে তুলা যায়, সে সম্পর্কে উপদেশ দিলেন। অবশেষে ১৯৪৯ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
“আনন্দস্বরূপ প্রেমময় ভগবানকে জানে না যারা, মানে না তারা। যে মানে সে জানে, যে জানে সে মানে।….মনের ওপর বিশ্বাস রাখো, বিশ্বাসই তোমাকে টেনে তুলবে।”
“জ্ঞান ভিন্ন মুক্তি নেই, তবে সেই জ্ঞানের স্বরূপ কী হবে, তা নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহলে নানা মতপার্থক্য আছে। তবে আমরা বলব, যে জ্ঞান ঈশ্বরাভিমুখী সেই জ্ঞানই শাশ্বত সত্য।”
“পরমেশ্বরই গুরু। তাঁর স্বরূপ উদ্ভূত কৃপাশক্তি না থাকলে আমরা জীবনে কোনো কাজে সফল হতে পারব না।”
“পূর্বজন্মের ভালোমন্দ সম্পর্কে চিন্তা করে কী লাভ? ভবিষ্যৎ জন্মে কী হবে, তা নিয়েও চিন্তা করে কী হবে। মনে রাখবে, এই জন্মে আমরা মনুষ্যজীবন লাভ করেছি, মনুষ্য জীবনের সব কটি দিককেই উদ্ভাসিত করা এই জন্মের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।”
“শুধুমাত্র ইন্দ্রিয় জ্ঞানে আমরা ব্রহ্মের বিচার ও ধারণা করতে গেলে সেই বিচার এবং ধারণায় ভুল থাকবে।”
“শুধু বেদান্ত শ্রবণে আমরা আত্মশুদ্ধি লাভ করতে পারি না। এর জন্য নিত্য অভ্যাস থাকা দরকার। অভ্যাস না থাকলে আমরা কোনো কাজে সফল হতে পারব না।”
“প্রাণই জীবের প্রাণশক্তি হিসাবে বিরাজ করছে। মনোবৃত্তি আর অভিব্যক্তি—মনের দুটি সত্তা।”
“মানুষ যতই বাইরে থেকে উপদেশ গ্রহণ করুক না কেন, নিজের হৃদয়ের অন্তরতম প্রদেশ থেকে উপদেশ বাণী না এলে সে কখনো উদ্বুদ্ধ হতে পারবে না।”
“জাগতিক জ্ঞান এবং অজ্ঞান অবস্থা পরস্পর সংযুক্ত, একটিকে অন্যটি থেকে বাদ দিয়ে চিন্তা করা সম্ভব নয়।”
“অনাদি অনন্তকাল থেকে প্রাণীদেহে লীলা বয়ে চলেছে। আমরা এই লীলায় ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।”
“মানুষের মধ্যে দৈবী এবং আসুরিভাব একই সঙ্গে প্রতিভাত হয়। আমাদের উচিত, আসুরিভাবকে হত্যা করে দৈবীভাবকে উজ্জীবিত করা।”