Spiritual quotes by Swami Brahmananda | স্বামী ব্রহ্মানন্দের ৬২টি আধ্যাত্মিক বাণী

শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ ১৮৬৩ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মকালীন এনার নাম রাখা হয়েছিল রাখালচন্দ্র ঘোষ। অনু শ্রীরামকৃষ্ণের একজন বিশেষ শিষ্য ছিলেন। ইনি একসময় রামকৃষ্ণ মঠের প্রধান অধ্যক্ষও ছিলেন। ইনি একজন অদ্বৈত বেদান্তে বিশ্বাসী সন্ন্যাসী। অবশেষে ইনি ১৯২২ সালের এপ্রিল মাসের তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের হাওড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। –

Spiritual quotes by Swami Brahmananda
Photo by pexels.com

“মনের আসক্তি ত্যাগই ত্যাগ। হাজার জিনিস আসুক না কেন, আসক্তি না থাকলে কিছুই নয়। আবার কিছুই (জিনিস) নেই, কিন্তু আসক্তি থাকলে সবই রইল।”

“যার অহংকার একেবারে পরিত্যাগ হয়েছে – মন, বুদ্ধি প্রাণ যিনি সেই জগদীশ্বরের পাদপদ্মে সমর্পণ করেছেন, “আমার” বলতে কিছুই নেই এরকম ব্যক্তিই সৌভাগ্যবান এবং যথার্থ সুখী। জীবের নিজের কোনো বিষয়ে করার ক্ষমতা কিছুমাত্র নেই।”

“নিত্যনিয়ত নিজের মনকে সদ-বিষয়ে নিযুক্ত রাখতে হবে। সাধু-সঙ্গ, জপ-ধ্যান, পূজা- পাঠ যত করবে, ততই মনের মলিনতা কেটে গিয়ে মন একাগ্র হবে।”

“মনই নিজের শত্রু আবার মনই নিজের মিত্র। যে যত বিশ্লেষণ করে মনের এই গলদ বের করে তার সম্যক্ নাশ করতে পারবে, সে তত দ্রুত এই সাধন রাজ্যে এগিয়ে যাবে।”

“অনুরাগবিহীন সাধন-ভজনে শান্তি ও আনন্দ লাভ করা যায় না। সৎসঙ্গ, জপ-ধ্যান, বিবেক-বিচার না থাকলে মনকে বশে আনাও অসম্ভব। মন্ত্র না নিলে একাগ্রতা আসে না। ….মন্ত্র নামের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত ব্রহ্ম ব্যতীত আর কিছুই নয়।  এ জীবনের কিছুই ঠিক নেই। দশ-বিশ বছর পরে শেষ হতে পারে বা আজ‍ই শেষ হতে পারে। তাই পথের সম্বল যত শীঘ্র করা যায় ততই ভালো।”

“যারা ঠিক ঠিক কর্মযোগী, তারা অতি সামান্য কাজ হলেও সে কাজ ভগবদ্ বুদ্ধিতে মন-প্রাণ ঢেলে দিয়ে করে। লোকের বাহক নেবার জন্য তারা কখনো কিছু করে না ।”

“স্মরণ-মননের চেয়ে কি আর জিনিস আছে। মায়ার পর্দা একটার পর একটা খুলে যাবে। নিজের ভেতর যে কী অদ্ভুত জিনিস আছে, দেখতে পাবে, স্ব-প্রকাশ হবে। খেতে, শুতে, উঠতে বসতে—সব সময়েই স্মরণ-মনন হতে পারে।”

“যতদিন মন বশে না আসে, ততদিন নিয়ম বিশেষ দরকার। মন বশে এলে সব নিয়ম তখন আপনা থেকেই খসে যাবে।”

“জপের সঙ্গে মূর্তিচিন্তা করতে হয়, নইলে জপ ভালো হয় না।……ইষ্টমূর্তিকে জ্যোতির্ময়, সর্বব্যাপী চৈতন্যস্বরূপ জানবে।”

“জীবনের উদ্দেশ্য ভগবান লাভ। কঠোরত করা নয়। – ব্রহ্মচর্যের দ্বারা শক্তি বাড়ে।”

“সব সময় মানুষের গুণ দেখতে হবে। একটু গুণ থাকলেও তাকে বড় করে দেখতে হবে, সম্মান দিতে হবে, প্রশংসা করতে হবে। গুণের আদর না করলে মানুষ বড় হতে পারে না, নিজের মনও উদার হয় না।”

“চিত্ত যত শুদ্ধ হবে, তাঁর কৃপা তত অনুভব করবে, নিত্যই মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে, যতদিন না মন বশে আসে। বিবেক-বিচার জাগ্রত থাকলে কিছুই অসাধ্যি বা কষ্টকর নয়। মনকে সর্বদা উচ্চ চিন্তা, উচ্চ আদর্শে ডুবিয়ে রাখতে হবে। নিষ্ঠা না থাকলে কোনো কাজে কৃতকার্য হওয়া যায় না। – নিয়ন্ত্রিত জীবন শারীরিক ও মানসিক বিকাশের একমাত্র উপায়।”

“কাম-ক্রোধাদি রিপুগুলি সংযত করতে পারলেই ধ্যান-ধারণা সম্ভব হয়। ওগুলি দমন করাই শ্রেষ্ঠ তপস্যা।”

Spiritual quotes by Swami Brahmananda

“আবেগপ্রবণ হতে নেই। চেপে রাখতে হয়। জপের সঙ্গে সঙ্গে মূর্তিচিন্তা করতে হয়, নইলে জপ, ভালো হয় না। পূর্ণমূর্তির ধ্যান না হলেও যেটুকু সামনে আসে তাই নিয়ে ধ্যান আরম্ভ করবে। প্রথমে পাদপদ্ম থেকে আরম্ভ করবে। না পারলেও বার বার চেষ্টা করবে। করতে করতেই হবে। সাধন ভজনেরও জোয়ার ভাঁটা আছে, তবে সেটা প্রথম প্রথম। কিছুকাল নিয়মিত রূপে করতে থাকলে, তখন একটানা হয়ে যাবে।”

“সন্ধিক্ষণ ও নিশীথ রাত হচ্ছে সাধন-ভজনের উৎকৃষ্ট সময়। এ সময়ে মন সহজেই স্থির হয়। স্মরণ-মনন লোকচক্ষুর অন্তরালে করবার চেষ্টা করবে।”

“প্রকৃত গুরু যিনি, তিনি শিষ্যের জ্ঞানলাভ না হওয়া পর্যন্ত, তাকে পথ দেখাবার জন্য অপেক্ষা করেন। .সিদ্ধপুরুষ ব্যতীত কারোও গুরু হবার অধিকার নেই। সদ্‌গুরু না হলে জীবের অহংকার যায় না, সংসার বন্ধন কাটে না।”

 “কে কী করছে, কার কী হলো, ওসব দেখবার বা ভাববার কিছুমাত্র দরকার নেই। নিজে ঠিক পথে এগিয়ে চলতে হবে।”

“মানসিক, দৈহিক ও আধ্যাত্মিক এই তিন শক্তির একত্র সমাবেশ না হলে ধর্ম হওয়া শক্ত। …একমাত্র মানুষজন্মেই ভগবান লাভ হয়।”

“যারা সর্বান্তঃকরণে তাঁকে ডাকে তাঁর শরণাগত হয়, তাদের তিনিই পথ দেখিয়ে নিয়ে যান। ….সরল পবিত্র হৃদয়ই তাঁর আসন।”

“ভগবৎ আনন্দ ছাড়া, জাগতিক সব আনন্দেরই প্রতিক্রিয়া আছে। স্থায়ী আনন্দ স্থপাবে না কোনো কিছুতেই।”

“ইষ্টমূর্তিকে সহাস্য আনন্দময় ভেবে চিন্তা করতে হয়। নইলে শুকো ধ্যান হয়ে যাবে।”

“ভক্তিপথেও “অজ্ঞানে”র ধ্বংস হয় আর জ্ঞানপথেও সেই “অজ্ঞানে”র ধ্বংস হয়। কিন্তু জ্ঞানটা থাকে, যায় না, যেটা যায় সেটা অজ্ঞানতা। এই জ্ঞানের পরপারে কী? – তা কেউ বলতে পারে না। যে যায় সেই জানে।”

“সব কাজই কাজ। সাধন-ভজন করাও কাজ, আবার সংসার পালন করাও কাজ। ঠিক ঠিক করতে পারলেই হলো। সবই ভগবানের প্রার্থনাস্বরূপ।”

“সর্বত্রই তিনি বিরাজমান। মন-প্রাণ ভরে তাঁকে ডাকলে সাড়া পাওয়া যায় ৷”

“এ সংসারে যারা বেশী চালাকি করতে চায়, তারা কেবল ঠকেই মরে।”

“তাঁর কার্য কি বোঝা যায়? কাকে কোন্ পথ দিয়ে নিয়ে যান, তা বুদ্ধির অগম্য।”

Spiritual quotes by Swami Brahmananda

“দোষ দেখতে সকলেই পারে। বে কেউ মানুষকে ভালো করতে পারে তো বোঝা যাবে তার ক্ষমতা আছে।”

“শুদ্ধ মন, শুদ্ধ আধার না হলে তাঁর দর্শন পাওয়া যায় না। ভগবানের নাম করলেই দেহ মন শুদ্ধ হয়।”

“সংসার কাজকর্ম করবার সময় খুব মন দিয়ে করবে। –মনে মনে কিন্তু ঠিক (সজাগ) থাকবে ‘আমার কিছুই নয়।’ মনে প্রাণে জানতে হবে “আমি কিছুই না।”

“যদি কারোও ঠিক ঠিক অনুরাগ আসে, সাধন-ভজন করার ইচ্ছা হয় তাহলে নিশ্চয়ই তিনি সদ্‌গুরু জুটিয়ে দেন।”

“বেশীরভাগ লোকই জানে না, আসল সুখ কোথায়। তাই সামনে যা পায়, তাই ধরে মনে করে এটাই ভালো। পরে ধাক্কা খেয়ে ওটা ছেড়ে দিয়ে আর একটা ধরে, আবার আঘাত পায়। …এতো দুঃখ ব্যথা পেয়েও ঠিক ঠিক রাস্তা ধরে না।”

“বড় বড় কাজ অনেকেই করতে পারে। নাম যশের জন্য অনেক সময় অনেক বড় বড় কাজ করতে পারা যায়। ছোট ছোট কাজের ভেতর দিয়েই মানুষকে বোঝা যায়, তার চরিত্র কত দূর গড়েছে।”

“অনেকে মুখে বলে আমি তাঁর শরণাগত। তিনি যেমন করান তেমনি করি। কিন্তু কাজে ঠিক উল্টো। ভালো কাজ একটু করলেই ভগবানকে ভুলে ‘আমি করেছি’ বলে লাফালাফি করে। যেই কিছু বিপদ হয়, অমনি ভগবানের ওপর দোষ চাপায়, বলে ‘তিনি আমায় দুঃখ কষ্ট দিচ্ছেন’।”

“মনকে দুই উপায়ে স্থির করা যায়। প্রথম, কোনো নির্জন স্থানে গিয়ে মনকে সংকল্প-বিকল্পাদি-রহিত করে ধ্যান-ধারণা করা। দ্বিতীয়, ভালো ভালো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে মনকে বিকশিত করা। মনের খাদ্য হচ্ছে ধ্যান-জপ, সৎ-চিন্তা ইত্যাদি। মনের স্বভাবই হচ্ছে এই যে, ভগবদ্ভাব থেকে টেনে এনে বিষয়ে নামিয়ে দেওয়া। – মন স্থির হলে ধ্যান করবো এরূপ ভাবলে আর ধ্যান করা হবে না। দু-ই একসঙ্গে করতে হবে।”

“চোখের সামনে যত ভোগসুখ দেখছো চোখ বুজলেই সব অন্ধকার। – নদীর স্রোতের মত জীবন চলে যাচ্ছে। যে দিনটা গেল, সে আর ফিরবে না। সময়ের সদ্ব্যবহার করো। শেষে “হায় হায়” করে কোনোই ফল হবে না।”

“যা কিছু করবে সবই ঠাকুরের কাজ জানবে, তাহলে কর্মেতে কখনো অপ্রীতি হবে না, ফলেতেও আসক্তি আসবে না। সাধন-ভজন ছেড়ে দিয়ে কর্ম করতে গেলে সহজেই অহংকার অভিমান আসবে। আর যত অশান্তির সৃষ্টি হবে।”

“মানুষের সব অপরাধের জন্য ক্ষমা করা চলে, কিন্তু মিথ্যাচারের (ভণ্ডামির) কোনো ক্ষমা নেই।”

Spiritual quotes by Swami Brahmananda

“ধ্যান-ধারণার কোনো বাঁধাবাঁধি নেই। নির্জন স্থানে ধ্যান করাই ভালো। নিত্য-নিয়মিত ভাবে করতে হবে। শরীরের উন্নতির জন্যও ধ্যান করা উচিত। – সাধারণতঃ হৃদয়ে ধ্যান করাই ভালো। দেহটা যেন মন্দির, ঠাকুর তাতে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন।”

“প্রথমে ইষ্টের মতই হৃদয়ে গুরুর ধ্যান করে নিতে হয়। পরে ‘গুরু ও ইষ্ট এক’ – এইরূপ ভাবনা করে গুরুকে ইষ্টেতে লয় করে দিয়ে তখন ইষ্টের ধ্যান বা জপ আরম্ভ করতে হয়।”

“গুরু এক, তবে উপগুরু অনেক হতে পারেন। যাঁরই কাছে কিছু শিক্ষা পাওয়া যায় তিনি উপগুরু।”

“নৈতিক জীবনের সুদৃঢ় ভিত্তির ওপরই আধ্যাত্মিক জীবনের শান্তিমন্দির প্রতিষ্ঠিত। – প্রবৃত্তির দাসত্ব ছেড়ে দিয়ে বিবেক-বৈরাগ্য-ত্যাগ-তপস্যা ও সংযমের আশ্রয় গ্রহণ না করা পর্যন্ত দুঃখের চিরনিবৃত্তি বা সুখ-শান্তি লাভ করা যায় না।”

“অনেক সাধক আছেন, যাঁরা মনকে ছেড়ে দেন এবং বসে বসে শুধু লক্ষ্য করেন, মন কী করছে। শেষে মন ঘুরে ঘুরে যখন কিছুতেই শান্তি পায় না, তখন আপনা থেকেই ভগবানের দিকে যায়, তাঁর শরণাপন্ন হয়।”

“অহংকার-অভিমান, মান-যশ ও ভোগ-বাসনা থাকতে সেই নিরবচ্ছিন্ন শান্তির কোন আশাই নেই।”

“প্রথম প্রথম ধ্যান তো মনের সঙ্গে যুদ্ধ। দোলায়মান মনকে ক্রমাগত টেনে এনে ইষ্ট পাদপদ্মে লাগাতে হয়। এতে কিছুক্ষণ পরে একটু মাথা গরম হয়। এজন্য প্রথম প্রথম বেশী ধ্যান-ধারণা করে মস্তিষ্ককে খুব বেশী খাটাতে নেই; খুব আস্তে আস্তে বাড়াতে হয়। কিছুদিন এরূপ অভ্যাসের ফলে যখন ঠিক ঠিক ধ্যান করলেও কষ্ট হবে না, বরং সুষুপ্তির পর শরীর ও মন যেরূপ সচ্ছন্দ হয় সেরূপ বোধ হবে, আর ভেতরে খুব আনন্দ অনুভব হতে থাকবে।”

“সর্বকর্মের ভেতর করো তাঁর নাম। নামের অসীম শক্তি। নামের আগুন জ্বলে উঠলে ভেতরকার সমস্ত জঞ্জাল পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। -নাম করলে তার ফল হবেই। কর্মের ফল অনিবার্য।”

“আকুল প্রাণে তাঁর নিকট প্রার্থনা করলে সকল প্রশ্নের মীমাংসা তিনিই করে দেন।”

“মানুষকে ভালো না বাসলে মানুষের ভেতর যিনি আছেন, তাঁকে পাওয়া যাবে না।”

“ধ্যান করতে করতে অনেক সময় জ্যোতিঃদর্শন হয়, আবার কখনো প্রণব ধ্বনি বা ঘন্টা ধ্বনি অথবা অন্য কোনো দূরের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আরও এগিয়ে যেতে হয়। তবে ওসব লক্ষণ ভালো। বুঝতে হয় ‘ঠিক ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি’।”

“কোন বিশেষ উন্নত মহাপুরুষের সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে তাঁর জীবনে উপলব্ধ সত্যগুলি অনায়াসে নিজ জীবনে আয়ত্ত করবার সুবিধা হয়।”

“রাতদিন অপরের কু-ভাবগুলো আলোচনা করলে নিজের ভেতরে যেটুকু সম্ভাব থাকে তা নষ্ট হয়ে মনের ওপর ওইসব কু-ভাবের ছাপ পড়ে যায়।”

“দেনা-পাওনার ভাব থাকায় (বৈষয়িক) মানুষ ভগবানকে ঠিক ঠিক ডাকতে পারে না। তাই একটু ডেকেই না পেলে হতাশ হয়ে পড়ে।”

“মায়ের কাছে ব্রহ্মজ্ঞানের চাবি। (মহামায়া) মা কৃপা করে চাবি দিয়ে না খুললে — উপায় নেই।”

Spiritual quotes by Swami Brahmananda

“যাদের সাসনা জেগেছে, তাদের ওপর ভগবানের বিশেষ কৃপা আছে।”

“মন স্থির না থাকলে ভগবান লাভ তো দূরের কথা, সাধারণ সাংসারিক কাজের মধ্যেও অনেক গোলযোগ হয়।”

“নির্জনে একমনে ধ্যান-জপ যতই করবে, ততই ইন্দ্রিয়গুলি সংযত হবে। নিত্যই কিছু না কিছু ধ্যান-জপ করবে। জপের ফলেই মন স্থির হয়ে ইষ্টতে লয় হয়। নির্জনে ধ্যান করতে বসলে মন সহজেই অন্তর্মুখী হয়।”

“অনাবশ্যক কথাবার্তা বন্ধ করলে ‘মৌন’ থাকার ফললাভ হবে।”

” ‘বিশাল’ ভাবে চিন্তা করবে ভগবানকে। আকাশ, সমুদ্র ও হিমালয় পর্বত দেখলে ওই বিশাল ভাবটি জাগবে অন্তরে।”

“অনিত্য পদার্থে যার যত আসক্তি তার ততই ভেতরে অশান্তি। তাঁকে ভুলে মানুষ যতই “আমার” “আমার” করে, ততই দুঃখ ব্যথা বাড়ে।”

“স্বয়ংবেদ্য সেই “ভূমা” বস্তু; সাধন করলে সে সব নিজের অনুভব হয়। সেখানে কোনো অভাব নেই, কোনো ভয় নেই। শুধু ভাবলেই মনটা উঁচু হয়ে যায়।”

“জপ-ধ্যান দ্বারা কুণ্ডলিনী জাগরণ হয়।”

“সাধন-ভজন অভ্যাসে করা দরকার। পাঁচ মিনিট হয় সেও ভালো, কিন্তু এক সময়ে দরকার।”

“নিজের মনই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ গুরু। যখন ধ্যান করে মন স্থির হয়, তখন সেই মন তোমাকে পরপর যা করতে হবে সব বলে দেবে।”

Leave a Reply