মার্ক টোয়েন ১৮৩৫ সালের নভেম্বর মাসে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মার্ক টোয়েন ছিল এর ছদ্মনাম, এনার আসল নাম হল স্যামুয়েল ল্যাংহোর্ন ক্লেমেন্স। এনেছিলেন একজন আমেরিকার বিখ্যাত লেখক বা সাহিত্য। ইনি ১৯১০ সালের এপ্রিল মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন। এনার কিছু উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হলো।
“যে মানুষ নতুন কোনো কথা বলে তাকে সকলে পাগল ভাবে যতক্ষণ না তার কথা সফল হচ্ছে।”
“যদি চাও নিজের পোশাক সম্পর্কে উদাসীন থাকতে পারো, তবে সর্বদা আত্মাটা পরিচ্ছন্ন রেখো।”
“কিছু জিনিস আছে সহ্য করা কঠিন, একটি ভালো উদাহরণের থেকেও।”
“চটপট উত্তর দেবার ব্যাপারে আমি বরাবরই তৃপ্ত ছিলাম, উত্তর দিতামও, বলতাম, আমি জানি না।
“তোমার যা দরকার তা হল কেবল অজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস। ‘ব্যস্’ সাফল্য তোমার বাঁধা।”
“আমি এমন এক বৃদ্ধ ব্যক্তি যার পৃথিবীর বহু সমস্যার কথা জানা, যেগুলি কোনোদিনই ঘটেনি।”
“একজন মানুষ তার নিজের অনুমতি ভিন্ন স্বচ্ছন্দ হতে পারে না।”
“সর্বদা সঠিক কাজ করো। তাতে কিছু লোক সন্তুষ্ট হবে, বাকিরা হবে বিস্মিত।”
“যে কাজটি করতে সব থেকে বেশি ভয় লাগে সেটাই করো, ভয়ের মৃত্যু নিশ্চিত।”
“এক টুকরো আন্তরিক প্রশংসায় আমি অন্তত দুমাস বেঁচে থাকতে পারি।”
“একজন মানুষ তার সাধারণ কথোপকথনে যে ধরনের বিশেষণ প্রয়োগ করে তা থেকে তার চরিত্র জানা যেতে পারে।”
“যে-কোনো আবেগ, যদি তা আন্তরিক হয়, তা স্বতঃস্ফূর্ত।”
“সব কিছুরই একটা সীমা থাকে—লোহার আকরিককে শিক্ষিত করে কখনোই সোনায় পরিণত করা যায় না।”
“আমি একটা নিয়ম করেছি যে একসঙ্গে একটির বেশি সিগার আমি খাব না।”
“মানুষ যখন নিজেকে একজন মিথ্যাবাদী বলে স্বীকার করে তখন তার থেকে সে কখনোই বেশী সত্যবাদী নয়।”
“প্রতিজ্ঞা না করার চেয়ে প্রতিজ্ঞা ভাঙা ভালো।”
“তোমার কল্পনাগুলিকে কখনোই ঝেড়ে ফেল না। কারণ যখন ওরা ঘরে যাবে তুমি শারীরিকভাবে জীবিত থাকলেও তোমার বেঁচে থাকা স্তব্ধ হয়ে যাবে।”
“যদি একটা ব্যাং ভাজা খাওয়া তোমার কাজ হয়ে থাকে, তবে সেটা সক্কাল সক্কাল খেয়ে নেওয়াই ভালো, আর যদি দুটো ব্যাং ভাজা খেতে হয়, তবে বড়োটা প্রথমে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ”
“জলবায়ু হল আমরা যা প্রত্যাশা করি আর আবহাওয়া হল তাই যা আমরা পাই ।”
“তোমার ভাবনাগুলি সমস্যার ভিড় থেকে কান ধরে টেনে বের করে আনো, প্রয়োজনে ঘাড় ধরে।”
“জর্জ ওয়াশিংটন যখন শিশু ছিলেন যৌবনের সব থেকে সাধারণ কাজকারবারগুলি সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন। তিনি শুতেই পারতেন না।”
“বয়স হল বস্তুর ওপর মনের একটা ব্যাপার। যদি কিছু মনে না করো, কিছুই যায় আসে না।”
“ভালো বন্ধু, ভালো বই এবং একটি ঘুমন্ত বিবেক ; এগুলিই হল আদর্শ জীবনের উপকরণ।”
“বহুবার বহু লোকের দ্বারা আমি প্রশংসিত হয়েছি, অস্বস্তিও হয়েছে ; সর্বদাই মনে হয়েছে আমার সম্বন্ধে তারা ঠিক যথেষ্ট বলেনি।”
“দুঃখ—যন্ত্রণা একা একাই নিজেদের বহন করতে পারে। কিন্তু তোমার আনন্দকে পূর্ণ মাত্রায় উপভোগ করতে অন্তত একজন দরকার যার সঙ্গে তা ভাগ করা যায়।”
“কদাচিৎ আমার নজরে কোনো সুযোগের দেখা মিলত, যতক্ষণ না সেটি পিছলে বেরিয়ে যেত।”
“একটা বেড়ালকে লেজ ধরে ঝুলিয়ে বহন করার সময় মানুষ যে শিক্ষা লাভ করে, তা সে আর কোনো ভাবেই পেতে পারে না।”
“বাহ্যত এমন কিছু নেই যা আজ ঘটতে পারে না।”
“হাস্যরস পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ।”
“সে এখন প্রাচুর্য থেকে দারিদ্র্যের দিকে চড়ছে।”
“একজন গোল ব্যক্তি কখনো ঠিকঠাকভাবে চৌকো গর্তে ফিট হয় না। তাকে তার আকৃতি বদলে নেবার জন্য উপযুক্ত সময় দিতে হয়।”
“আমি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাইনি, তবে চমৎকার এক চিঠিতে আমি জানিয়েছিলাম যে কাজটিতে আমার সম্পূর্ণ সমর্থন আছে।”
“সব সাধারণীকরণ হল মিথ্যা”
“কথা বলার থেকে চুপ থাকা ভালো, তাতে লোকে বোকা ভাবে ভাবুক। কারণ মুখ খুললে তো আর কোনো সন্দেহই থাকবে না।”
“ধূমপান ছেড়ে দেওয়া পৃথিবীতে সব থেকে সহজ কাজ। আমি জানি, কারণ আমি অন্তত হাজারবার ছেড়েছি।”
“যে মানুষ পড়াশুনা করে না সে কখনো পড়াশুনা না জানা লোকের থেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা পায় না।”
“ক্রোধ হল এমন এক ধরনের অ্যাসিড যাকে যে পাত্রে ঢালা হয় তার থেকে যে পাত্রে রাখা থাকে তার ক্ষতি বেশি করে।”
“যেখানকার লোকজন তোমাকে চেনে সেখানে মাছের গল্প বলো না, বিশেষ করে, তাদের বলো না যারা মাছ চেনে।”
“হাসির আঘাতের বিরুদ্ধে কিছুই দাঁড়াতে পারে না।”
“পোশাকেই মানুষের যথার্থ পরিচয়, নগ্ন ব্যক্তিদের পোশাক নেই, নেই সমাজে তাদের কোনো প্রভাব।”
“সততাই শ্রেষ্ঠ পথ—বিশেষত যখন সেখানে অর্থ থাকে।”
“ফুলকপি আর কিছুই না। কলেজে পড়া বাঁধাকপি।”
“অতি নৈকট্য ঘৃণার জন্ম দেয়—এবং শিশুদের।”
“স্বাস্থ্য বিষয়ক বইগুলি পড়ার সময় সজাগ থেকো, একটা সামান্য ছাপার ভুলে মারাও যেতে পারো।”
” ‘ক্ল্যাসিক’—এমন গ্রন্থ যার প্রশংসা সকলেই করে এবং পড়ে না।”
“ঘুমানো এবং বিশ্রাম ছাড়া আর কোনো ব্যায়াম আমি করিনি।